ঢাকা | জুলাই ১৩, ২০২৫ - ৯:২৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ

  • আপডেট: Tuesday, July 8, 2025 - 11:16 pm

কলিট তালুকদার, পাবনা থেকে: বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পাবনায় রাক্ষুসে রুপ ধারণ করেছে যমুনা নদী। ভাঙন শুরু হয়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীতে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় বেশে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর।

মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, স্কুলসহ শতাধিক পরিবার। পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চর বক্তারপুর গ্রাম যমুনা নদীর পাড়ের এই গ্রামটি।

বর্ষা মৌসুম এলেই গ্রামের মানুষদের কপালে দেখা দেয় চিন্তার ভাঁজ। সম্প্রতি গ্রামটিতে গিয়ে কথা হয় কৃষক হানিফ শেখের স্ত্রী আক্তার বানুর সাথে। আলাপকালে তিনি জানান, গত তিন বছরে তিনবার তাদের ঘর হারিয়েছে যমুনার গর্ভে। এবারও একই চিন্তায় দিশেহারা তিনি। গেলো কোরবানির ঈদের দিন নদীতে ভেঙেছে অনেকের বাড়ি।

ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ভাঙন। তার পর থেকে ভয়ে থাকি কখন না জানি আবার ভাঙন শুরু হয়। একই গ্রামের শাজাহান আলী বলেন, এই বয়সে তিনি অন্তত ৬ বার এই নদী ভাঙন দেখেছেন। বর্তমানে যেখানে বসবাস করছেন কয়েক বছর আগে নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বসতবাড়ি ছিল। নদী ভাঙতে ভাঙতে সেখান সরে এসেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মানুষ বাঁচবে। তবে এবার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার।

চর বক্তারপুর গ্রামের জোসনা খাতুন বলেন, সন্তান আর গাবাদি পশু নিয়ে নির্ঘূম রাত কাটাতে হয়। কখন যেন নদীতে ঘর ভাঙে। গত কোরবানির ঈদের দিন ভাঙন হয়েছে। ঈদের দিন আমাদের রান্নাবান্না খাওয়া কিছুই হয়নি। স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে গত একমাসে অন্তত ২০টি বাড়িঘর ও অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে।

ভাঙন ঝুঁকিতে একটি মসজিদ, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক পরিবার। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হায়দার আলী বলেন, কিছু ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন  করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।