রাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টার সামনেই সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলেন কর্মচারী

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে সংবাদ সংগ্রহকালে শিক্ষা উপদেষ্টার সামনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এক কর্মচারী।
পরে তিনি আবারও সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মারপিটের হুমকি, কটুক্তির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল দশটার দিকে প্রশাসন ভবন-১-এর সামনে এঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এরপর সাংবাদিকরা তার বাইট ( সাক্ষাৎ কার) নিতে শুরু করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্য ও আনন্দঘন পরিবেশ আলোকপাত করেন।
পরে চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক আবরার সাঈর শিক্ষা বিষয়ক একটি প্রশ্ন করলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আমরা কি আপাতত এই প্রশ্নগুলো বাদ দিতে পারি না। এই প্রশ্ন পরবর্তীতে করি। আজকের যে অনুষ্ঠান তার প্রতি সম্মান রাখি। পরবর্তীকালে ঐ প্রশ্নের উত্তর দিব।
এরপর এখন টেলিভিশনের সাংবাদিক মারুফ আরেকটি প্রশ্ন করলে উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব কথা বলতে শুরু করেন।
এসময় উপদেষ্টার পাশে থাকা এক শিক্ষক বলে উঠেন, “এই সাংবাদিকরা থামেন, আপনার কি সব প্রশ্ন করেন”। শিক্ষা উপদেষ্টা ইশারায় তাকে থামতে বলেন ও কিছুক্ষণ কানে কানে কথা বলেন। এরপর সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মচারী উত্যক্ত করতে শুরু করে।
তারা বলতে থাকেন, “বালের সাংবাদিক। কি প্রশ্ন করতে হয় জানেনা। এক অনুষ্ঠানে এসে আরেক বিষয়ে প্রশ্ন করে। ” সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হলেও চলতে থাকে এরকম কথা বার্তা।
একপর্যায়ে সাংবাদিক আবরার সাঈর সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানায় চু্ক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী রাজাকে বিনীতভাবে উস্কানি মূলক এসব কথা বার্তা বলতে নিষেধ করেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। রাজা অশোভন, আক্রমণাত্মক আচরণ ও চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন।
আবরার সাঈর বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের জানানোর চেষ্টা করলেও এরইমধ্যে শোভাযাত্রা শুরু হওয়ায় তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এসময় রাজা স্থানীয়দের ডেকে মব সৃষ্টির অপচেষ্টা ও গালাগালি করতে থাকে।
পরে কর্মচারী ইউনিয়নের কয়েকজন ঘটনস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, রাজা সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং তিনি একটি রাজনৈতিক দলের লোক। আপনারা চলে যান। এসময় আরো কয়েকজন রাজার পক্ষ নিয়ে বিষয়টি ঘোলাটে করতে থাকেন। সাংবাদিকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা ব্যবস্থা বা এ নিয়ে গুরুত্ব দেখাননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতেও রাজি হননি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা নিয়ে এমন আচরণ কাম্য নয়।