মান্দায় চাঁদা না দেয়ায় দোকানঘর নির্মাণে বাধা, উত্তেজনা

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জমিতে অস্থায়ী দোকানঘর নির্মাণে চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।
ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গতকাল শনিবার মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, সড়ক সম্প্রসারণ কাজের সময় তারা নিজেদের দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছিলেন। বর্তমানে কাজ শেষ হওয়ায় পুরোনো জায়গার পেছনে পুনরায় দোকানঘর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় একদল যুবকের বাধার মুখে পড়েন।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, উপজেলার কয়াপাড়া গ্রামের মানিক বিশ্বাস, তন্ময় বিশ্বাস, সাজু বিশ্বাস, আয়নাল হক ও মজনু চাঁদা না দিলে দোকানঘর নির্মাণ করতে দিচ্ছেন না। ইতোমধ্যে তারা ওই জায়গা বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। অনেককে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
ফেরিঘাট এলাকায় ‘মান্দা অটোজ’ নামের একটি দোকানের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, ৪০ বছর ধরে এখানে মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করি। রাস্তার উন্নয়নের সময় দোকান সরিয়ে নিয়েছিলাম। এখন পুনরায় দোকান নির্মাণ করতে গেলে এক লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। ‘শান্ত ফল ভান্ডার’ দোকানের মালিক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় আমার সঙ্গে আরও ৩৫ জন ব্যবসায়ী দোকানঘর নির্মাণে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
অনেককে প্রকাশ্যে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। শুনেছি, ইতোমধ্যে অন্তত চারজনের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায়ও করা হয়েছে। আমার কাছেও এক লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানিক বিশ্বাস বলেন, আমরা কারো কাছ থেকে চাঁদা চাইনি বা বাধা দিইনি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।