ঢাকা | জুলাই ৫, ২০২৫ - ৬:৪৭ অপরাহ্ন

পশ্চিম তীরে ইসরাইলি দখলদারিত্ব বেড়েছে ৪০ শতাংশ

  • আপডেট: Saturday, July 5, 2025 - 12:41 pm

অনলাইন ডেস্ক: ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে সেটেলারদের আক্রমণ বেড়েছে। একইসঙ্গে ভূখণ্ডটিতে বেড়েছে সেটেলারদের দখলদারিত্ব। ২০২২ সালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দখলদারিত্ব বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদুলা এজেন্সি।

ইসরাইলের সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, বহু বিতর্ক ও টানাপোড়েন কাটিয়ে ২০২২ সালে নেতানিয়াহুর জোট সরকার ক্ষমতায় বসে। এরপর থেকেই পশ্চিম তীরে বিপুল পরিমাণে দখলদারিত্ব বেড়েছে।

গণমাধ্যমটি বলছে, পশ্চিম তীরে বসতিপূর্ণ এলাকা ১২৮টি থেকে বেড়ে ১৭৮টিতে পৌঁছেছে, যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।  একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসযজ্ঞও আগের তুলনায় বেড়েছে।

দুদনি আগে নেতানিয়াহুর ১৪ মন্ত্রী ও নেসেটের স্পিকার আমির ওয়ানা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। ওই চিঠিতে নেতানিয়াহুকে দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে অবিলম্বে তাদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ওই চিঠির পরই ইসরাইলি সম্প্রচার মাধ্যমটি এ তথ্য দিল।

দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার বিষয়ে তেমন কর্ণপাত করে না তেলআবিব। তবে সম্প্রতি ইসরাইলি পুলিশ ও সৈন্যদের ওপর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা তাদের রাজনীতিবিদদের নজর কেড়েছে।

পশ্চিম তীরের মধ্যভাগের শহর কাফর মালিকে গত ২৮ জুন এক ইহুদি বসতিস্থাপনকারীর হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত ও সাতজন আহত হয়।

চ্যানেল ১২ বলছে, নতুন করে বসতি স্থাপনের ঘোষণা, অবৈধ চৌকি স্থাপনের নজিরবিহীন গতি, কৌশলগত সড়ক নির্মাণ ও ফিলিস্তিনি ভবনগুলোর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ দুই রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে শেষ করার লক্ষ্যেই করা হচ্ছে।

কট্টর ইহুদিপন্থি রেজাভিম মুভমেন্টের সিইও মেইর ডেউটসচ বলেন, ‘এ সরকার যতটা বসতি স্থাপনকে উৎসাহ দিয়েছে, অতীতে কোনো সরকার এতটা দেয়নি।’

সম্প্রচার মাধ্যমটি বলছে, নেতানিয়াহুর জোট সরকার গঠনের পর পশ্চিম তীরে অন্তত ৫০টি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি বসতি ইতোমধ্যে করা হয়েছে। সাতটি বর্তমানে গবাদিপশুর চারণভূমি, ১৪টি বসতির অভ্যন্তরের পাড়া-মহল্লা এবং ১০টি কেবল কাগজে-কলমেই রয়েছে।

নতুন করে ডজন ডজন বসতি স্থাপনের পাশাপাশি গত আড়াই বছরে আগের বসতিতে নির্মাণ কাজ আগের সব রেকর্ডকে ভেঙে ফেলেছে।

চ্যানেল ১২ বলছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে ৪১ হাজার ৭০৯টি বসতিবাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা নেতানিয়াহুর বর্তমান সরকারের আগের ছয় বছরের অনুমোদিত সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।

সম্প্রচার মাধ্যমটির তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পশ্চিম তীরে অবৈধ চৌকির সংখ্যা ছিল ২১৪টি, যার মধ্যে ৬৬টি গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার সময় স্থাপন করা হয়। ইসরাইলের চলমান সরকারের প্রথম দুই বছরে অবৈধ বসতি চৌকির সংখ্যা আগের দুই বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে।