পবার দর্শনপাড়ায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার: তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে আত্মনির্ভরশীলতার পথে এগিয়ে নিতে পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ‘ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’। যেখানে শিক্ষার্থীরা নামমাত্র খরচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পাবে।
বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “বর্তমান যুগ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের।
এই বিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি মঞ্চ। এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং গ্রামীণ যুবসমাজের আত্মবিশ্বাস ও স্বাবলম্বী হওয়ার বাতিঘর।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। সুসজ্জিত কক্ষে একসঙ্গে ২০ জন শিক্ষার্থী এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের যেকোনো শিক্ষার্থী কম্পিউটার বেসিক, অফিস অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং নেটওয়ার্কিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। স্বল্প খরচে প্রশিক্ষণের এই সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির বলেন, “দক্ষতার অভাবে সৃষ্ট বেকারত্ব একটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। আমরা কেবল অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নেও বিশ্বাসী। এলাকার তরুণরা দক্ষ হয়ে উঠলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।”
দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ আলী বলেন, “উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও আমাদের অনেক তরুণ-তরুণী বেকার। এই কেন্দ্র তাদের জন্য আশার আলো। কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ নিতে আসা রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম বলেন, “আমি ডিগ্রির ছাত্র হলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কম্পিউটার শিখতে পারিনি।
এখানে কম খরচে সেই সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। প্রশিক্ষণ শেষে অনলাইনে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে চাই।”দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও বাগসইল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ সময়োপযোগী।
গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যাতে প্রযুক্তি শিক্ষায় পিছিয়ে না থাকে, সেজন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আরও বেশি করে চালু করা প্রয়োজন। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা শুধু নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করবে না, দেশকেও এগিয়ে নেবে।”
দর্শনপাড়া ইউনিয়নের জামায়াতের নায়েবে আমির রফিকুল ইসলাম বলেন,“আমাদের এলাকার অনেক শিক্ষার্থী কম্পিউটার শেখার সুযোগ পায় না। এই কেন্দ্র চালুর ফলে গ্রামের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হবে।