বাগমারায় ক্রয়কৃত জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারার নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ বাজারের মাদিলা মোড় সংলগ্ন ক্রয়কৃত জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই জমির দখলকে কেন্দ্র করে যেকোন মূহুর্তে সেখানে বড় ধরনের কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফুলপুর গ্রামের চেরু প্রামানিকের ছেলে আজাহার আলী বৃহস্পতিবার বাগমারা থানায় একটি জিডি করেছেন। এর আগেও তিনি ওই জমির দখল নিয়ে বিরোধের জেরে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলা ও জিডি সূত্রে জানা গেছে, নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ মৌজায় আর.এস ৭৬৭ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন সোহাগী বিবি। বিগত ০১/০৮/১৯৭৩ ইং তারিখে ৮০৬৩ নং বিক্রয় কবলা দলিল মূলে সোহাগী বিবি উক্ত খতিয়ানের ১৪৮ নং দাগে ২২ শতকের কাত ৬ শতক জমি চেরু প্রামানিকের নিকট হস্তান্তর করেন।
এরপর চেরু প্রামানিক ওই জমি দানপত্র দলিল মূলে নাতী মাহফুজুর রহমানের নিকট হস্তান্তর করেন। অপরদিকে ০৬/০৯/১৯৭৩ ইং তারিখে ৯৩২৩ নং দলিল মূলে সোহাগী বিবি উক্ত খতিয়ানের ১৪৮ নং দাগে ২২ শতকের কাত ১২ শতক জমি আয়েন উদ্দিন ও মজিবর রহমানের নিকট হস্তান্তর করেন।
এরপর থেকেই আয়েন উদ্দিন ও মজিবর রহমান ক্রয় সূত্রে ১২ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছেন। বাদী আজাহার আলী জানান, ওই দাগে ২২ শতক জমি উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ওই দাগে জমির পরিমান কম রয়েছে। তবে তার বাবার দলিল আগে হওয়ায় তাদের জমির পরিমান কম হবে না।
কিন্তু তার প্রাপ্য ৬ শতক জমি ভোগ দখল করা অবস্থায় গত বুধবার কক্ষতার দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষরা ওই জমির সীমানার খঁটি তুলে ফেলে তার জমি দখল করে নেয়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে জিডিতে দাবি করা হয়েছে।
অপরদিকে আয়েন উদ্দিন জানান, একই দাগে সোহাগী বিবির নিকট থেকে তিনি ও তার ভাই ক্রয় সূত্রে ১২ শতক জমির মালিক হিসাবে প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। তাদের ভোগ দখলীয় জমিতে আজাহার আলী বিনা কারণে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া বারবার মামলা ও জিডি করে তাদের হয়রানী করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈহিদুল ইসলাম বলেন, বিরোধরপূর্ণ ওই জমির দখল নিয়ে জিডি হওয়ায় এবং দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় বিষয়টি দেখার জন্য হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।