ঢাকা | জুলাই ৪, ২০২৫ - ৮:৫২ পূর্বাহ্ন

অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

  • আপডেট: Thursday, July 3, 2025 - 12:42 am

নওগাঁ প্রতিনিধি: ধান-চালের অবৈধভাবে মজুদ, বস্তার গায়ে মিলগেট দর, ধানের জাত, মিলের নাম না লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁর বিভিন্ন চালকল এবং অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা খাদ্য বিভাগ।

অভিযানে এসিআইসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এবং মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত চালকল এবং অটো রাইস মিলগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার।

অভিযানে অবৈধভাবে ধান মজুদ রাখার অভিযোগে মহাদেবপুরের চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চাল কলকে এক লাখ টাকা, সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনটিকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চাল কলকে অবৈধ ধান মজুদের অভিযোগে এক লাখ টাকা, অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদের অভিযোগে মহাদেবপুরের চৌমাশিয়া এলাকায় অবস্থিত রাকিব চাল কলকে দুই লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্সকে অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগ ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চাল কলকে ৫০ হাজার টাকা এবং শহরের যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে রুবেল আহমেদ বলেন, গত কয়েক দিন যাবত ধান এবং চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান এবং চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা চালকল এবং অটো রাইস মিল গুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

মিলগুলোতে খাদ্য আইন অমান্য করে অবৈধ ধান চাল মজুদ রাখা এবং বস্তার গায়ে জাতের নাম, মিলগেট দর না লেখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৬টি মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, মিলগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমান পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হয়েছে। খাদ্য আইনে সরাসরি ব্যবস্থা নিলে চার ধারায় তারা এতক্ষণে জেলে থাকতেন। অবৈধ মজুদগুলো বাজারে দ্রুত ছেড়ে দেয়ার জন্য আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি।

এরপরে যদি অবৈধভাবে মজুদ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযানে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, খাদ্য বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS