ঢাকা | জুলাই ২, ২০২৫ - ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

শিবগঞ্জে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

  • আপডেট: Wednesday, July 2, 2025 - 12:09 am

শিবগঞ্জ (চাঁপাই) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রধান শিক্ষক শামসুন আলমের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে আকস্মিকভাবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান তার ক্লাস্টার বর্হিভূত উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের রেফুল বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করেন।

এসময় প্রধান শিক্ষক শামসুন আলমকে জিজ্ঞাসা করেন আপনার বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক নেই কেন? উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান তারা টিফিনে, নামাজ ও দুপুরের খাবার খেতে গেছেন। পরদিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান তাকে ফোন করে বিষয়টি ক্লাস্টার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মমতাজ বেগম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাতে নিষেধ করে বলেন, জানালে আপনার ক্ষতি হবে।

শুধু তাই নয়, তিনি নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন ওই শিক্ষককে। বাধ্য হয়ে সেদিন দুপুরে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাবুল ও ইসমাইলের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ববর্তী কর্মস্থল নওগাঁর আত্রাইয়ে নানা ধরনের অপকর্ম, দুনীতি ও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে তাকে শিবগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়।

কিন্তু এখানেও থেমে থাকেননি তিনি। শুরু করেছেন ঘুষসহ নানা অনিয়ম। সূত্র জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। কিন্তু বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদকে সরকারি ল্যাপটপ না দিয়ে সেটি আত্মসাতের চেষ্টা করেন হাফিজুর রহমান।

বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপটি পৌঁছে দেন তিনি। এদিকে গত ২৩ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রোখসানা হায়দার স্বাক্ষরিত একপত্রে তাকে পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসে বদলী করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক শামসুন আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান টাকা ফেরত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমি টাকা ফেরত নেইনি। কারণ আমি তার সঠিক বিচার চাই।

সদ্য পোরশায় বদলী হওয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান সব অভিযোটি অস্বীকার করে বলেন, আমি যড়যন্ত্রের শিকার।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS