ঢাকা | জুন ৩০, ২০২৫ - ৪:২০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সাবেক সিইসি আউয়ালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন

  • আপডেট: Monday, June 30, 2025 - 12:18 am

সোনালী ডেস্ক: জনগণের ‘ভোট ছাড়াই’ নির্বাচন সম্পন্ন করা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনা (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আসামির ৩ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পিবিআই পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান। আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও কাজী হাবিবুল আওয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও কর্মকর্তারা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন সম্পন্ন করেন। এ আসামি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসান।

মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। গত বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এরআগে গত ২২ জুন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর ২৩ জুন তার চারদিনের এবং ২৭ জুন আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।

পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।

“সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

“উক্ত ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিংশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরো অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে।

“এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।” মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার গত বুধবার মামলায় দণ্ডবিধির ১২০ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ যুক্ত করার আবেদন করেন।

ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে এ মামলায়।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS