চাকরি না করে দেশে ফেরত রতন: নিরাপত্তা চেয়ে থানায় হাজির আদমব্যবসায়ী

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: লেবার পদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান রতন আলী। ১২ দিন চাকরি করার পর সে আর বিদেশ থাকতে চান না। এরপর অঙ্গীকার নামায় চুক্তিবদ্ধ করে দেশে আনা হয় রতন আলীকে।
রতন রাজশাহী পবা উপজেলার হাটগোদাগাড়ী কাবাসমুল এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মালা উদ্দিন।
বিদেশ থেকে দেশে আসার কিছুদিন নিরব থাকলেও সম্প্রতি টাকা ফেরত চেয়ে ফরচুন ওভারসীল এজেন্সির সাব-এজেন্ট রফিকুল ইসলামকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে বিদেশ ফেরত রতন আলীর বাবা মালা উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শুধু হুমকি ধামকি নয়, তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ারও চেষ্টা করেন তারা।
রফিকুল ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এমন ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে অভিযোগ নিয়ে দুর্গাপুর থানায় হাজির হন রফিকুল। ফরচুন ওভারসীল এজেন্সির সাব-এজেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফরচুন ওভারসীল এজেন্সির মাধ্যমে রতনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়।
তারপর রতনের বাবাসহ কয়েকজন মিলে আমার কাছে ফাঁকা স্ট্যামে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। তখনও আমি কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। পরে তার ছেলে সৌদি আরবে থাকতে ইচ্ছুক নয় বলে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেন। তাদের পরিবারের মুচলেকার মাধ্যমে কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়াই রতনকে দেশে আনা হয়।
এরপর সম্পন্ন খরচও আমার কোম্পানি বহন করেন। দেশে এসে কিছুদিন নিরব থাকলেও সম্প্রতি তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি ও হয়রানি করছেন।
গত ২২ জুন রাত ৮ টাকায় রতনের বাবা মালা উদ্দিন, খাইরুল ইসলাম, নওশাদ আলীসহ তাদের লোকজন আমার বাড়িতে এসে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় গ্রামবাসির প্রতিরোধের মুখে তারা চলে যান। এরপর থেকে আমি আর বাড়িতে থাকতে পারছি না। তাই আমার নিরাপত্তায় থানায় হাজির হয়েছি।
এ বিষয়ে রতনের বাবা মালা উদ্দিনের নম্বরে কল দেয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার বড় ভাই নওশাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মোবাইল ফোনে নওশাদ আলী বলেন, বড় ভাইয়ের মোবাইল নাই। আমার ভাতিজা রতনকে বিদেশ পাঠানোর নামে রফিকুল প্রতারণা করেছেন।
চাকরি দিবে বলে তিন মাসের টুরিস্ট ভিসায় সৌদি আরবে নিয়ে যায় রফিকুল। চুক্তিবদ্ধ বেতনের সঙ্গেও মিল নেই। তাই তাকে ফেরত আনা হয়েছে। রফিকুলের বাড়িতে গিয়ে হুমকি ধামকি ও তুলে আনার অভিযোগ অস্বীকার করে নওশাদ বলেন, এসব সব মিথ্যা। রফিকুল বাড়ি থেকে বের হন না।
আগামী ৫ তারিখে দুই পক্ষ বসার কথা রয়েছে। সেখানে এলাকার লোকজন উপস্থিত থাকবেন। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ডিউটি অফিসার বিশ্বনাথ বলেন, রফিকুল নামের এক ব্যক্তি থানায় এসেছিলেন।
আমরা তার কর্থাবাতা ও কাগজপত্র দেখে সাধারণ ডায়েরি বা থানায় অথবা আদালতে এজাহার দাখিলের পরামর্শ দিয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরি বা এজাহার দাখিল করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।