সবজিতে স্বস্তি, অস্থির চালের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ৭ দিনের ব্যবধানে এখানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২/৩ টাকা। আর বস্তায় (৮৪ কেজি) বেড়েছে ২/৩শ’ টাকা। আর সবজির দাম নাগালে থাকায় ক্রেতারা খুশি।
রাজশাহী মহানগরীসহ এর উপকণ্ঠের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরো মৌসুমের নতুন ধান-চাল এখন বাজারে। এই সময় দাম কমতির দিকে থাকে। অথচ দাম বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে চাতালে মিলাররা ধান শুকাতে পারছেন না। ফলে চালের ঘাটতির কারণে দাম বাড়ছে।
শুক্রবার নগরীর কুমারপাড়ার চালের আড়তগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ২/৩ টাকা। গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫০, পারিজা/ লালস্বর্না ৫৮ থেকে ৬০, আটাশ নতুন ৭০, পুরানো ৭৫, মিনিকেট নতুন ৮০, পুরানো ৮৫, নাজির শাইল ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সাহেব বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতারা জানান, চালের দাম খুচরা বাজারেও বেড়েছে কেজিতে ২/৩ টাকা। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫২, পারিজা/ লালস্বর্না ৬০ থেকে ৬২, আটাশ নতুন ৭২, পুরানো ৭৭, মিনিকেট নতুন ৮২, পুরানো ৮৭, নাজির শাইল ৯০ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চালের বাজারের অস্থিরতা রোধ করতে এখনই দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে মহানগরীসহ এর উপকণ্ঠের হাট- বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরবরাহ কমের অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম আরেকদফা বেড়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ ’শ থেকে ৭৫০, খাসির মাংস ৯০০ ’শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রতিকেজি ছোটমাছ ৩০০শ’ থেকে ৪শ’, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ১৮০, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৪০, রুই-কাতলা ৩৮০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০, সোনালী ২৬০ থেকে ২৭০, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিহালি সাদাডিম ৩৫ থেকে ৩৮ এবং লালডিম ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমায় মানুষ স্বস্তিতে রয়েছে।
প্রতিকেজি আলু ২২ থেকে ২৫, বেগুন ৪০, পটল ২০, ঢেড়স ২৫, শশা ৪০, মিস্টি কুমড়া ৩০, প্রতিপিস লাউ ২০ থেকে ৩০, চাল কুমড়া ৩০, কাঁচা মরিচ ৫০, পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ কেজিতে টাকায় বিক্রি হয়েছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ না উঠায় চাষিরা হতাশ।