নির্যাতিতদের সমর্থনে রাজশাহীতে অধিকারের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে “নির্যাতন বিরোধী অপশোনাল প্রটোকল অব কনভেনশন এগেইনেস্ট টর্চার অনুস্বাক্ষর কর” এই দাবিতে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’র রাজশাহীর কর্মীরা মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মানবাধিকার অধিকার’র রাজশাহীর সমন্বয়ক ও দৈনিক আমার দেশ’র প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। যাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হযেছেন তাঁদের প্রতি সংহতি জানাবার দিন এটি।
এ সময় অন্যান্য বক্তার বলেন, ‘রাষ্ট্রের অমানবিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মানুষ নানাভাবে দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছে। বিশ্ব যান্ত্রিক সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশিদূর এগুতে পারেনি।
গত বছর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের বীভৎস দমন নীতির কারণে অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেছে এবং হাজার হাজার ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ববরণ করেছে।
বিগত নিষ্ঠুর ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের উৎপীড়নের বিকট রূপ দেখে সারাবিশ্ব হতভম্ব হয়েছে।’ তারা বলেন, নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দিবসটির তাৎপর্য অপরিসীম।
মানববন্ধনে অধিকার’র বিবৃতি পাঠ করেন, নির্যাতনে শিকার আয়না ঘর থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি আল আমিন হোসেন। অধিকার’র বিবৃতি উল্লেখ করা হয়- ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই নির্যাতন প্রতিরোধ করা এবং এই ব্যাপারে কার্যকরী আইন প্রণয়ন ও এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে প্রতিটি সরকারের আমলে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
তবে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তা চরম আকার ধারণ করে। গুম করে নির্যাতন, কারাগারে নির্যাতদের ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাব, পুলিশ এবং বিভিন্ন গেয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে।
অধিকারের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৮২ ব্যক্তি নির্যাতনের কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২০ জুন পর্যন্ত ১০ ব্যক্তি নির্ঘাতনে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় অধিকারের পক্ষ থেকে নির্যাতন বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট কয়েকটি সুপারিশ পেশ করা হয়।