রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে অন্যান্য শাক-সবজির পাশাপাশি মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এই উপজেলায় মূলত ধান চাষের এলাকা হিসেবে পরিচিত হলেও। স্থানীয় কৃষকরা একমুখী ফসল থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে কমবেশি সবজি চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় রাণীনগরে ৮টি ইউনিয়নে কমবেশি পটল চাষ করছে স্থানীয় চাষিরা।

কৃষি অফিসের পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাড়ির পাশে পুষ্টি বাগানসহ জমিতে পটল চাষ বেড়েছে। বর্তমানে মাচা পদ্ধতিতে পোটল চাষ করে চাষিরা লাভবান হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি পোটলসহ নানা জাতের সবজি চাষ করছে। কৃষি অফিস থেকে উন্নত মানের চারা ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করায় পোটল চাষিরা বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।

বাঁশের খুঁটি আর দড়ি দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। মাটি থেকে প্রায় ৩ ফুট উঁচুতে বাঁশের তৈরি সারি সারি মাচার উপরে নিচে ঝুলছে অসংখ্য পটোল। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে এসব পোটল খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। চলতি মৌসুমে রাণীনগরে ১০ হেক্ট জমিতে পোটল চাষ হয়েছে।

উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের ইলিম সাখিদারের ছেলে মোস্তাক হোসেন জানান আমি দীর্ঘ সময় ধরে ধান চাষের পাশাপাশি শাকসবজি এবং পোটল চাষ করি। এবছর কৃষি অফিসের পরামর্শে আমার লিজকৃত প্রায় ৪৫শতক জমিতে মাচা পদ্ধতিতে পোটল চাষ করেছি। চৈত্র মাসে বীজ বপন করার পর পোটল ক্ষেতে আমি নিজে দুই একজন শ্রমিক নিয়ে পরিচর্যা করি।

আমার এই জমিতে ভালো পরিমাণ পোটল ধরেছে শেষ সময় পর্যন্ত ফলন ও দাম ভালে পেলে আমি আশানুরূপ লাভ পাবো। তবে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে পোটলের ফুল হেফাজত করতে নানা জাতের কীটনাশক ছিটিয়ে তেমন ফলাফল পাচ্ছিনা। ইতি মধ্যে পোটল গাছের ফুলগুলো মাচায় হলুদ বর্ণ হয়ে ঝড়ে পরছে।

বর্তমানে বাজারে ২০টাকা কেজি পর্যন্ত পটল বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সরোয়ারদি জানান,  পটোল একটি জনপ্রিয় সবজি। সারা বছরই কম-বেশি পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে রাণীনগরে নতুন নতুন চাষিরা ধান চাষের পাশাপাশি পটোল চাষ করে লাভবান হচ্ছে।

এ বছর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে পটোল চাষ হয়েছে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে পটোল চাষ ও রোগবালাই দমনে বিভিন্ন কার্যকর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।