বিশেষ অঙ্গে লাথি দিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী গ্রেপ্তার

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগরে বিশেষ অঙ্গে লাথি মেরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আমেনা খাতুন আন্না (২০) নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। গত রোববার আমেনা খাতুন আন্নাকে ১৫ মাসের শিশুসহ পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে তাকে গ্রেপ্তার করে সুজানগর থানা পুলিশ। নিহত মো. সবুজ হোসেন (২৬) উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সবুজের চাচাতো ভাই রিফাতুল ইসলাম শনিবার রাতে বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার আমেনা খাতুন আন্না সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আমিন সরদারের মেয়ে। তাদের সংসারে মোছা. আছিয়া খাতুন নামে ১৫ মাস বয়সের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সবুজের সঙ্গে আমেনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যে তাদের ঝগড়া হতো। ১৫ দিন আগে আমেনা তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যান।
পরে ১৮ জুন রাতে স্ত্রী ও কন্যাকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি জোড়পুকুরিয়া যান সবুজ। ওই রাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আমেনা স্বামী সবুজের বিশেষ অঙ্গে লাথি মারেন। এ সময় সবুজ হোসেন বিছানাতেই প্রাণ হারান।
১৯ জুন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমেনা খাতুন আন্না বলেন, আমার স্বামী সবুজ মাদকাসক্ত ছিলেন।
নেশা করে ঘরে ফিরে প্রায়ই আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিনেও নেশা করে আমার বাবার বাড়ি গিয়েছিলেন।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বামী সবুজ হোসেনকে বিশেষ অঙ্গে লাথি মেরে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্না। স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে তার কাছে যান এবং তাকে নির্যাতন করায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন আমেনা।
ওসি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমেনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর অধিকার তাই আমেনা খাতুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ১৫ মাসের শিশুকেও তার সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে।