সিরাজগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড ৪ জনের যাবজ্জীবন

যুবলীগ নেতা হত্যা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক (৩৮)।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই মহল্লার কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা (৪২) ও বাদল সেখ (৩৯), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৩)।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হামিদুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মামলার ১৮ জন আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহত গোলাম মোস্তফার সঙ্গে আসামিদের সামাজিক, ব্যবসায়িক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর গোলাম মোস্তফা ফজরের নামাজ শেষে ভোরে প্রাতঃভ্রমণে বের হন।
প্রাতঃভ্রমণ শেষে তিনি পৌর শহরের পাশে রানীগ্রাম পশ্চিমপাড়া বাজারের একটি চা স্টলে বসেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, ছোরা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
এসময় তারেকুল ইসলাম তারেক রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম ও অন্য আসামিরাও তাকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। এতে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ জুন ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।