বিকল্প সেটে পরীক্ষা, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

থানায় প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা:
নওগাঁ প্রতিনিধি: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ট্রাংকের সিলগালা খুলে ফেলার ঘটনায় নওগাঁর ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেকসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত শনিবার তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে। নওগাঁর পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সদস্যরা হলেন ওসি আব্দুল মালেক, কনস্টেবল মো. রেজুয়ানুর রহমান, আতিকুর রহমান ও মেহেদী হাসান। এর আগে এসআই জাকিরুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য ইকবাল হোসেনকে সরিয়ে নেয়া হয়।
সব মিলিয়ে ছয়জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার নওগাঁর ধামইরহাটে থানায় হেফাজতে থাকা ট্রাংকের তালা ভেঙে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে থানাহাজতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি শরিফুল ইসলাম জানান, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার কয়েক সেট প্রশ্নপত্র থানার মালখানায় রাখার কথা থাকলেও তা রাখা হয়েছিল হাজতখানায়। গত মঙ্গলবার রাতে এক আসামিকে সেখানে রাখা হলে গভীর রাতে তিনি ট্রাংকের সিলগালা খুলে ফেলেন।
ভেতরে থাকা প্রশ্নপত্র ছিঁড়ে ছড়িয়ে দেন হাজতের ভেতরেই। ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ এসআই ও এক কনস্টেবলকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরে গতকাল শনিবার আরও চারজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরই মধ্যে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই আসামি হত্যা মামলার আসামি। ট্রাংক খোলা ও প্রশ্নপত্র নষ্টের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিন বলেন, খোলা ট্রাংকে ৫০টি প্রশ্নপত্র ছিল। সবকটিই উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছেঁড়া ছিল, তবে কোনোটি হারায়নি বলে দাবি তাঁর।
এদিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয়পত্র বাতিল করেছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট সেটে আর পরীক্ষা নেয়া হবে না। বিকল্প সেটে পরীক্ষা নেয়া হবে ১৯ জুলাই, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায়।