বাংলাদেশের স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

সোনালী ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ও নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য চারজন স্কাউট আত্মহুতি দিয়েছেন। স্কাউটিংয়ের ইতিহাসে এমন নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের দেশব্যাপী আয়োজিত কাব কার্নিভালের উদ্বোধন ও শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুনিয়া ও নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ তৈরি করে স্কাউটসের কার্যক্রম।
গৎবাঁধা ছাত্রজীবনে নিজের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আর সুযোগ থাকে না। তোমাকে তোমার সঙ্গে পরিচিত করে দেয়ার জন্য স্কাউটিং একটা বড় দরজা খুলে দিয়েছে।
এর মাধ্যমে শুধু নিজে নয়, অন্যদেরও নিজেকে চেনার সুযোগ করে দেওয়া যায়। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তখন উড়োজাহাজের ভাড়া অনেক বেশি। তাই লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে জাহাজে করে নিয়ে গেলো। এতে আফসোস করার কথা কিন্তু হয়ে গেলো আনন্দের। আটলান্টিক পাড়ি দেয়া যাত্রায় পুরো জাহাজ মাতিয়ে ফেললো স্কাউটের কয়েকজন বাচ্চা বাচ্চা ছেলে।
গান-বাজনায়, উৎসাহ ও ফুর্তিতে পুরো জাহাজের নিয়ন্ত্রণ চলে আসলো তাদের হাতে। আসার পথেও নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পর্যন্ত জাহাজে। ৭০ বছর আগে (১৯৫৫ সাল) স্কাউট হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণের এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে বক্স ওয়াগন কোম্পানির কাছ থেকে সস্তা দামে তিনটি মাইক্রোবাস কিনলাম।
টাকা বাঁচানোর জন্য ৬ মাস ধরে পুরো ইউরোপ ভ্রমণ করে পাকিস্তান পর্যন্ত ফিরে আসলাম। ইউরোপের কোন জায়গা ভ্রমণ থেকে বাদ পড়েনি। তিনি বলেন, স্কাউটের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তোমাদেরও সেই সুযোগ আসবে। অন্য দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব, তাদের ভাষার শব্দ শেখা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে। অনুষ্ঠানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকালে নিহত শহীদ স্কাউট সদস্যের পরিবারের হাতে সাহসিকতা পদক ও বিভিন্ন স্কাউটদের মধ্যে পদক বিতরণ করা হয়।