সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা

সোনালী ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর সিরিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা হয়েছে।
সোমবার সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ঘাঁটিতে মর্টার হামলাটি হয় বলে জানিয়েছে ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা মেহর। তবে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক ভাবে হামলার খবর স্বীকার করেনি। এই হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এ হামলা চালিয়ে থাকতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেহর জানায়, হামলার পরপরই ঘাঁটিটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া হয় এবং প্রধান প্রবেশপথে কঠোর বেষ্টনী তৈরি করা হয়। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই এসব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে ‘অত্যন্ত সফল সামরিক অভিযান’ চালানোর কথা জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও বিশ্বের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেন এবং ইরানকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান। এই হামলাকে কেন্দ্র করে সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক জরুরি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান তীব্র বাদানুবাদে জড়ায়।
ইরানের জাতিসংঘ দূত আমির সাইদ ইরাভানি মার্কিন হামলাকে ‘নির্লজ্জ অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সংঘাতে ট্রাম্পকে টেনে এনেছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতিকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” ইরাভানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আনুপাতিক জবাব দেওয়ার ‘সময়, ধরন ও মাত্রা’ নির্ধারণ করবে।
এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করেছিল, যা এই সংঘাতের সূচনা করে।