ঢাকা | জুন ২৩, ২০২৫ - ১:২২ পূর্বাহ্ন

২৫ মিনিটের ‘ঐতিহাসিক’ সামরিক অভিযান

  • আপডেট: Sunday, June 22, 2025 - 8:39 pm

অপারেশন মিডনাইট হ্যামার:

অনলাইন ডেস্ক: অনেক জল্পনা-কল্পনার পর হুট করেই ইরানে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে হামলা চালিয়েছে তারা। এই সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’।

প্রায় ২৫ মিনিট দীর্ঘ এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের ১২৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি থেকে উড্ডয়নের প্রায় ৩৭ ঘণ্টা উড়ে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারে অংশ সাতটি বি-২ বোমারু বিমান। এই বিমানগুলো ইরানের ফরদো এবং নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় ১৪টি বাংকার বাস্টার বোমা ছোড়ে।

একইসময়ে ইস্পাহানে অবস্থিত আরেকটি পরমাণু স্থাপনায় সাবমেরিন থেকে প্রায় দুই ডজন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের পরমাণু কার্যক্রম রুখে শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়ে এসেছে ইসরাইল। কারণ মাটির অনেক নিচে অবস্থিত ফরদো পরমাণু স্থাপনায় হামলা করার মতো অস্ত্র ইসরাইলের কাছে ছিল না। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

সামরিক বিশ্লেষকরা জানান, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বিমান দিয়ে বাংকার বাস্টার ছুড়লেই ফরদো পরমাণু স্থাপনার ক্ষতিসাধন করা সম্ভব। শেষ পর্যন্ত সেটাই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করে পরিচালিত সবচেয়ে বড় অভিযান।

অভিযানের পর একে অভাবনীয় এক সাফল্য হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথও দাবি করেছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা হয়েছে।

যদিও ইরান এখনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। দেশটির রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত রাতের হামলায় ইরানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কিছু অসমর্থিত সূত্রের খবর, হামলার শঙ্কায় ইরান নাকি বহুল আলোচিত ফরদো ঘাঁটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু আগেই সরিয়ে নিয়েছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS