ছাড়পত্র থেকে এখনও অপসারণ হয়নি মুজিব শতবর্ষের ছবি

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স:
পুঠিয়া প্রতিনিধি: সরকার পতনের দশ মাসের বেশি সময় হতে চললেও এখনো পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের ছাড়পত্রে মুজিব বর্ষের ছবিযুক্ত ছাড়পত্র এখনও থেকে গেছে।
রোববার বেলা ১২টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ছাড়পত্রে রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের উপস্থিতির বিষয়টি জানতে পেরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী (বড় বাবু) মুজিব বর্ষের ছবিযুক্ত ছাড়পত্রের সত্যতা দেখার জন্য নিজেও সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন রুমে পরিদর্শন করেন এবং সত্যতাও পান।
এছাড়াও আবাসিক অফিসার আলী মুস্তাফিজ মুন্সী’র টেবিলেও পাওয়া যায় এ শেখ মুজিবুরের ছবিযুক্ত ছাড়পত্র। অথচ কয়েক মাস আগে নতুন করে অনেকগুলো ছাড়পত্র প্রিন্ট করা হয়েছে।
সেগুলো প্রকাশ্যে না এনে ছবি যুক্ত ছাড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। পুঠিয়া সদরের যুবদল নেতা শাকিব হোসেন বলেন, জুলাই আন্দোলনের দেড় মাস পরে পুঠিয়া উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে; তবে আজকে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে যা দেখলাম তাতে আমি হতভাগ হয়ে গেলাম বলে তিনি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসার আলী মুস্তাফিজ রহমান বলেন, আমরা মূলত ছবিগুলো ছিড়ে ফেলেছি। কিন্তু তার রুমে প্রকাশ্যেই মজিদ শতবর্ষ ছাড়পত্রের উপরে তিনি ওষুধের নাম লিখছিলেন এমন সময় সাংবাদিক হাজির হয়। এর মধ্যেও কিছু গুলো আছে যা ভুল করে আমাদের কাছে চলে এসেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান শাওন জানান, শেখ মুজিবের ছবিসহ যে ছাড়পত্র এক সময় ছিল, এখন থাকার কথা না। আমরা অতি দ্রুত সময়ে সেই ছাড়পত্র অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এরপরেও যদি থেকে থাকে তাহলে আমি এর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না।
তবে আপনাদের মাধ্যমে এই মাত্র জানতে পারলাম ও ছবিযুক্ত কাগজে দেখলাম। দ্রুত এই বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে হলে তিনি জানান।