ইস্তাম্বুলে আরব লিগের বৈঠক ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা

সোনালী ডেস্ক: ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব লিগ এবং সামরিক উত্তেজনা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আরও আহ্বান জানিয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনার আরও অবনতি ঠেকাতে এবং একটি সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হতে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংঘাত পরিস্থিতি, বিশেষ করে ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইরানে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে আলোচনা করতে গত শুক্রবার (২০ জুন) আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইস্তাম্বুলে এক বৈঠকে মিলিত হন। তারা তুরস্কের এই শহরে ২১–২২ জুন অনুষ্ঠেয় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-র ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।
জরুরি বৈঠক শেষে প্রকাশিত চূড়ান্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের এই হামলা জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি।
বৈঠকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ব্যর্থতা এ অঞ্চলে আরও গভীর অস্থিতিশীলতা ডেকে আনতে পারে।
মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সাথে গাজার যুদ্ধের সংযোগ করা হয় এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ, অবিলম্বে ও স্থায়ীভাবে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দেন, ইসরায়েলের আচরণ অঞ্চলকে আরও বিস্তৃত সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তারা ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যেখানে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিনিময়ে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। তারা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে নতুন করে প্রচেষ্টা শুরুর আহ্বান জানান।
এছাড়াও, বিবৃতিতে, অঞ্চলের যে কোনো দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা আরও জোর দিয়ে বলেন, অঞ্চলের সকল দেশের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ সংবিধিতে (এমপিটি) যোগদান করা জরুরি। সূত্র: আনাদোলু