ঢাকা | জুন ২২, ২০২৫ - ২:৩৯ পূর্বাহ্ন

বান্ধবীকে হলে নিয়ে রাত্রিযাপন রাবি ছাত্রের

  • আপডেট: Saturday, June 21, 2025 - 11:42 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : শার্ট ও ক্যাপ পরিয়ে বান্ধবীকে হলে নিয়ে রাত্রিযাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিববুর রহমান হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।

গত ৪ জুন হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষে বান্ধবীকে নিয়ে রাত কাটান নাজমুল ইসলাম। ঘটনাটি নিয়ে কয়েকদিন কানাঘোষা হচ্ছিল। হল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিষয়টি আলোচনা উঠে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম, তার বাড়ি মাদারীপুর। নাজমুলের বান্ধবীও একই বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী দুজন ছাত্রের ভাষ্য, তারা ৪ জুন ভোরে বাড়ি ফেরার জন্য সবকিছু গুছিয়ে হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে একটা ছেলে সাইকেল চালিয়ে তাদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তার সাইকেলের পেছনে একটি মেয়ে বসা ছিল, মেয়েটির গায়ে স্কুলের শার্ট আর মাথায় ক্যাপ ছিল।

তারা বলেন, বিষয়টি তাদের চোখে অস্বাভাবিক ঠেকায় তারা তাকে ধরার চেষ্টা করেন কিন্তু সাইকেলের গতি এত বেশি ছিল যে পিছু নিলেও ধরতে পারেননি। এমনকি দারোয়ানও তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীকে হলের রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, গত তিন তারিখে (৩ জুন) আমার জন্মদিন ছিল। সেদিন কেক কেটে রাত হয়ে যায়। এদিকে ওর (বান্ধবী) মেস থেকে তিন তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলে। ও মেসে যেতে পারবে না বলে আমাকে অনুরোধ করে রাখার জন্য। পরে আমি ওকে রাতে হলে নিয়ে আসি। মূলত আমি ওকে শেল্টার দেয়ার জন্য রাখি। পরে সকালে চলে যায়।

তখন কেউ হয়তো আমাদের দেখে। এ বিষয়ে প্রোভোস্ট স্যার আমাকে ডেকেছিল। আমি তাকে বিষয়টি খুলে বলি। তিনি আমাকে হল থেকে বহিষ্কার করেন। বিষয়টি জানাজানি হবে না বলে আমাকে জানান প্রক্টর স্যার, যোগ করেন নাজমুল। হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

তাদের দৃষ্টিতে এটি একটি ভয়াবহ অপরাধ, এত বড় সাহস হয় কীভাবে? তারা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এবং ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হলের শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ, গেটম্যান ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি রেখে বলেছেন, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন গর্হিত কাজ কীভাবে ঘটল, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।

হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোতাহার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি এবং ঘটনাটিও সত্য। হল প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তার সিট বাতিল করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তার বিরুদ্ধে বাকি সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, এটা অবশ্যই সাংঘাতিক একটি ঘটনা। এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, সেটা অনেক বড় অপরাধ। আমরা খোঁজ নিব, বিষয়টি সত্যি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS