ঢাকা | জুন ২১, ২০২৫ - ৫:৫২ পূর্বাহ্ন

বাজারে আসলো চাঁপাইয়ের ফজলি

  • আপডেট: Saturday, June 21, 2025 - 1:11 am

চাঁপাই প্রতিনিধি: গত একমাস ধরে দেশজুড়ে বিক্রি হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। এখন পর্যন্ত বাজারে উঠেছে খিরসাপাত, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগসহ বিভিন্ন গুটি জাতের আম। তবে এসব আম এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। গতকাল শুক্রবার থেকে বাজারে এসেছে জিআই স্বীকৃত জেলার সুস্বাদু ফজলি আম।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার মহারাজপুর এলাকায় চৌধুরির আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়। বড় বড় গাছ থেকে নামানো হচ্ছে আম। তবে এসব আম কাঁচা নয়, কাঁচা আমের মধ্যে থেকে বাছাই করে পাকা আমগুলো পাড়া হচ্ছে।

চাষিরা বলছেন, সারাদিন ধরে বাছাই করে পাঁকা আম নামিয়ে কানসাট বাজারে বিক্রি করা হয়। কারণ পাকা আম গাছে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়।

চৌধুরীর বাগানের আম কেনা-বেচার দায়িত্বে আছেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, গত দুদিন ধরে ফজলি গাছে আম পাকতে শুরু করেছে। তাই শুধু পাকা আমগুলো বাছাই করে পেড়ে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে আজ (শনিবার) থেকে কাঁচা ফজলি আমও বিক্রি করা হবে। শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের আমচাষী শহিদুল ইসলাম বলেন, গাছেই পাকতে শুরু করে ফজলি আম। এক-দুদিনের মধ্যে বাজারে উঠবে ফজলি আম। এবার ফজলি আমের ফলন তেমন ভালো হয়নি। তাই দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি।

মনাকষা ইউনিয়নের আমচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনদিন আমের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী আমের দাম বাড়ছে না। আর ফজলি আম পরশুদিন (রোববার) থেকে বিক্রি শুরু করবো। ২ হাজার টাকার বেশি মণ দরে ফজলি আম বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুণতে হবে।

সদর উপজেলার আম চাষি আতিকুর রহমান সজল বলেন, গোপালভোগ আম শেষ। এছাড়া খিরসাপাত আম প্রায় শেষপর্যায়ে। এখন ফজলি আম পাড়া শরু হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াসিন আলী বলেন, এবার আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তাই গাছে আম পাঁকলেই চাষিরা পেড়ে বিক্রি করতে পারবেন।

এরই মধ্যে গাছে ফজলি আম পাকতে শরু করেছে। দু-একদিনের মধ্যে চাষিরা পেড়ে বিক্রি করবেন। এর পরে আশ্বিনা আম বাজারে আসবে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।

এতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টন। গত বছর জেলার আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল ১৩৩ মেট্রিক টন।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS