মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে:অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই দেড় বছর, রোগী পরিবহনে ভোগান্তি

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: প্রতিপক্ষের মারধরে গুরুতর আহত আব্দুল হামিদ (৬৮) নামের এক ব্যক্তিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রেফার করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বিপাকে পড়েন রোগীর স্বজনেরা।
পরে ৩ হাজার টাকা ভাড়ায় প্রাইভেট একটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। আহতের নিকটাত্মীয় আবু বাক্কার বাবু জানান, রোগীর অবস্থা ছিল মুমূর্ষু। হাসপাতালে কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। পরে বাইরে থেকে ৩ হাজার টাকা ভাড়ায় একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হয়। বকশিসও দিতে হয়েছে ১০০ টাকা। এর পর আহত হামিদকে রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে ১৪০০ টাকা ভাড়ায় রাজশাহীতে রোগী পরিবহন করা যেত। কিন্তু এখন সেই ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। অনেক সময় রোগীর অসহায়ত্বকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়াও দাবি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল বাশার অবসরে যান। এরপর থেকে আর কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ফলে দেড় বছরের অধিক সময় হাসপাতালের গ্যারেজেই আটকে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় গাড়িটি বর্তমানে প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী। আলম হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, গরিব মানুষ হাসপাতালে আসে একটু সেবা পাওয়ার আশায়।
এখন যদি অ্যাম্বুলেন্সই না থাকে, তাহলে কিভাবে রাজশাহীর মতো দূরের হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাব? উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগের চালক অবসরে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো চালক নিয়োগ হয়নি। এ নিয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই চালক নিয়োগ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করা সম্ভব হবে।