হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে এ দেশকে বিতারিত করা হয়নি: আব্দুস সালাম

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের বেকার যুবকরা চাকুরি না পেলেও ভারতীয়রা বাংলাদেশে চাকুরি করে গেছে, কাটা তারের বেড়ায় বাংলাদেশের মেয়ের লাশ ঝুলে থাকলেও এবং প্রতিনিয়ত বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করলে কোন প্রতিবাদ হয়নি।
পতিত সরকার ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার আমলে এমনটাই হতো বলে বৃহস্পতিবার বিকলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তৃনমূল পর্যায় থেকে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চন্দ্রিমা থানা বিএনপি’র কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বিএনপি রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি কারো নিকট মাথানত করেনা। বাংলাদেশেরও জন্ম মাথানত করার জন্য হয়নি। বিএনপি সর্বদা এটাই বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে যারা বাদা প্রদান করছে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তারেক রহমানকে খাটো করতে চায় একটি মহল।
খুনি হাসিনাকে অনেক রক্ত ও আন্দোলনের মাধ্যেমে এ দেশ থেকে বিতারিত করা হয়েচে। পুণরায় এদেশে ফেরত আনার জন্য নয়। যারা এমনটা ভাবছে তারা বোকার সর্গে বাস করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যেই রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র কাউন্সিলর হবে। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা হতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে। যে থানার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হবে তাদেরকে দলের লোকজনকে ভালবাসতে ও ভালবাসা পেতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
এই নির্বাচন হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। দিনে ভোট রাতে হবেনা। জোর কের ব্যালটবাক্স ভরার ইতিহাস বিএনপি’র নাই। জনগণের প্রতি বিএনপি’র বিশ্বাস ও আস্থা আছে বলে জানান তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, জনগণের জন্য সতের বছর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। জীবন দিয়েছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার, গণগন্ত্র ও দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্যই আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু সে আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। দেশের মালিকা খুনি হাসিনা ভারতের নিকট বন্ধক রেখেছিলো।
কিন্তু সে বন্ধক এখনো উদ্ধার হয়নি। আওয়ামী দোসরদের বিতারিত করতে একটি নির্বাচন প্রয়োজন। সেইসাথে আগামীতে দেশের উন্নয়নে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি সরকারের দরকার।
এজন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে যে ভাবে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে রাজনীতি শিখিয়ে গেছেন সেই ধরনের রাজনীতি করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি চন্দ্রিমা থানারা আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম ফাহির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম জনির সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলী পরিষদের সদস্য সাবেক মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, দস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, মতিহার থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব আল-মামুন বাবু, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, বোয়ালিায়া থানা (পশ্চিম) বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বজলুজ্জামান মহন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। উল্লেখ্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা হয়নি। পওে যাচাই বাছাই করে এবং সবার সাথে আলোচনা করে যোগ্য দেখে নাম ঘোষণা করা হবে বলে সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।