বিএমডিএ’র পবা জোনের কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার: বিএমডিএ’র পবা জোনের আয়োজনে ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মার পানি বরেন্দ্র অঞ্চলে সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার উপজেলা কৃষি অফিসের ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ। এসময় তিনি বলেন, রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্বল্পতা রয়েছে।
অপেক্ষাকৃত শুষ্ক আবহাওয়া, উচ্চ তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও ভূ-উপরিস্থ পানিস্বল্পতাই এই অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এখানে সাধারণত রোপা আমন, আউশ ও রবিশস্যের চাষ হয়। অনেক সময়ই বর্ষা মৌসুম দেরিতে শুরু হওয়ায় আমন ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটে।
এই উপজেলা ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বরেন্দ্র অঞ্চলে মজা খাল পুনঃখননের মাধ্যমে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে যেমন ফসল উৎপাদন বাড়বে, তেমনি খাদ্য সঙ্কট লাঘব হবে। এই প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)- এর পবা জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এমএ মান্নান, বিএমডিএ’র পবা জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাসেম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল বাকি।
বিএমডিএ’র পবা জোনের সহকারী প্রকৌশলী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনিত কারণে বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। এছাড়া এলাকায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম হওয়ায় প্রচণ্ড খরা অনূভত হয়।
এই অবস্থার উত্তরনে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার ৩০% বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে প্রেক্ষিতে বিএমডিএ রাজশাহী জেলার পবা, গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় “ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প (ইআইডিএল)” বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় বরেন্দ্র এলাকার খাল খাড়ি পুন:খনন ও সংস্কার কাজ চলছে। খালগুলোতে পদ্মা নদী হতে পানি এনে সংরক্ষণ করা হবে এবং অনাবাদি জমিতে ভূ-উপরিস্থ পানি দ্বারা সেচ সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষে খালপাড়ে ব্যপকভাবে বৃক্ষরোপোণ করা হবে।