ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর বালিতে ফ্লাইট বাতিল

অনলাইন ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার রিসোর্ট দ্বীপ বালিতে কমপক্ষে দুই ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় একটি পর্যটন দ্বীপে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর আকাশে ১০ কিলোমিটার উপরে ছাই উড়ছে এবং এই কারণে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বুধবার বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাকার্তা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ ফ্লোরেসের ১ হাজার ৭শ’ ৩ মিটার উঁচু মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি মঙ্গলবার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরড়ভসউ জেটস্টার এবং ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট, এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের টাইগারএয়ার এবং চীনের জুনিয়াও এয়ারলাইন্স।
ফ্লোরেসের লাবুয়ান বাজোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এয়ারএশিয়ার বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালি বিমানবন্দরের একজন গ্রাহক পরিষেবা এজেন্ট এএফপিকে বলেন, ‘নাগুরাহ রাই এখনও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। এটি ফ্লাইটের সময়সূচির ওপর নির্ভর করে, তবে রুট এবং বিমান সংস্থার ওপরও নির্ভর কওে আগ্নেয়গিরির কারণে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে লেওতোবি লাকি-লাকির আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে আগ্নেয়গিরির ছাই পড়ার ফলে কমপক্ষে একটি গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
গত নভেম্বরে, লেওটোবি লাকি-লাকি পর্বত একাধিকবার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নয়জন নিহত হয়, পর্যটন দ্বীপ বালিতে বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয় এবং হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া একটি বিশাল দ্বীপপুঞ্জ এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ নামক অঞ্চলে অবস্থিত।
এই অঞ্চলের কারণে সেখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে।
সূত্র: বাসস