স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর হাইমাদ্রাসার পূর্বদিকে দোকান জালিয়াতি অভিযোগের মামলায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বাদী আওয়াল হোসেন, পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ, সাং- সিপাইপাড়া, থানা- রাজপাড়া, জেলা- রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস মোড়ে (বোয়ালিয়া মৌজা) অবস্থিত দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

উক্ত দোকান ঘরের মালিক মাকসুদুল করিম (সম্রাট) এবং শফিকুল ইসলাম ২০২২ সালে বাদী ও তার স্ত্রীর নিকট রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে বিক্রি করে দিলে তারা তাদের নামে নাম খারিজ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এসময় আসামি (১) মামুনুর রশীদ পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ, সাং- সিপাইপাড়া, থানা- রাজপাড়া, জেলা- রাজশাহী কখনও পিতার নিকট থেকে প্রাপ্ত হবার দাবি করে, আবার কখনও ২-৫ নং আসামি যথাক্রমে আবু সাইদ কটু, মনির শেখ, জামাল শেখ, হালিম শেখ সকলের পিতা- মৃত ময়েজ উদ্দিন, সাং- সেখপাড়া, থানা- বোয়ালিয়া গণের নিকট থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন বলে বাদীর সম্পত্তি দাবি করে এবং সকলে যোগসাজসে ভাড়াটিয়া চুক্তিসহ জাল কাগজাদি সৃষ্টি করে নিজেদের মালিক হিসেবে প্রচার করে। এছাড়াও উক্ত ৫ আসামিসহ অপর ৩ আসামি  সাব্বির হোসেন, পিতা- জামাল সেখ, পালক পিতা- মনির সেখ, সাং- সেখপাড়া,  সুলতান, পিতা- মৃত এমদাদ ও শাহীন, পিতা- মৃত মোজাফ্ফর হোসেন বাবলু, উভয় সাং- হোসেনীগঞ্জ, থানা- বোয়ালিয়া একজোট হয়ে বাদীকে তার দোকনে ব্যবসা করতে বাধা সৃষ্টি করে।

এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কার্যালয় ও বোয়ালিয়া মডেল থানায় বসা হলেও আসামিগণ নিবৃত হয়নি। ফলে বাদী বিজ্ঞ বোয়ালিয়া আমলী আদালতে সিআর ৭২৪/২৪ নম্বর মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার (ভূমি), বোয়ালিয়াকে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দিতে বলেন। তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪(ক)(ঙ), ৫(ঘ), ৭(২) ও ২০(২) ধারায় মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আসামীদের প্রতি সমন দেন। পরবর্তীতে গত ০৪/০৬/২০২৫ইং তারিখে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন।

গতকাল সোমবার আসামিগণ বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশিদ এর আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন এবং সকল আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন এবং বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ আরাফাত কবির সুমু, মোঃ শরিফুল ইসলাম বাবুল ও মোঃ মাহমুদুর রহমান রুমন।