কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয়ের কোম্পানির হাল ধরছেন কে?

অনলাইন ডেস্ক: গত ১২ জুন লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, খেলার মাঠে দুর্ঘটনাবশত মৌমাছি গিলে ফেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।
সঞ্জয় কাপুর ছিলেন অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক সংস্থা সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। এই সংস্থার বাজারমূল্য ছিল চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টিরই যন্ত্রাংশ সরবরাহ করত সোনা কমস্টার। বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) খাতে ভারতীয় অগ্রগতির অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল কোম্পানিটি।
সোনা কমস্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সঞ্জয়ের বাবা সুরিন্দর কাপুর, ১৯৯৭ সালে। ২০১৫ সালে তার মৃত্যুর পর সঞ্জয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন। সংস্থাটির কারখানা রয়েছে ৯টি দেশে।
যে কারণে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে, কার হাতে উঠছে এ ব্যবসায়ীর গড়া সাম্রাজ্য?
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, এত বড় সাম্রাজ্যের দায়িত্ব সঞ্জয়ের স্ত্রী বা সন্তানদের হাতে যাচ্ছে না। বরং এ প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে চলেছেন সঞ্জয়ের দুই বোন, সুপর্ণা কাপুর ও মন্দিরা কাপুর কইরালা।
দুই বোনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। সুপর্ণা একজন খ্যাতনামা ম্যাগাজিনের সম্পাদক। অন্যদিকে, মন্দিরা সোনা মন্দিরা প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও, যা মূলত অটোমোবাইল খাতে কাজ করে।
এক সময় সঞ্জয়ের সঙ্গে ‘সোনা’ নামক স্বত্বাধিকার নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন মন্দিরা। তবে সময়ের সঙ্গে সব গুছিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং এখন তাদের হাতেই যাচ্ছে পারিবারিক এ ব্যবসার ভার।
সঞ্জয় তিনটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। ২০০৩ সালে সঞ্জয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কারিশমার। প্রায় ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল কারিশমা-সঞ্জয়ের।
কিন্তু সঞ্জয়ের সঙ্গে সুখী ছিলেন না অভিনেত্রী। যার ফলে ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সামাইরা ও কিয়ান নামের দুই সন্তানও ছিল তাদের সংসারে।
কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। প্রিয়ার আগের বিয়ের একটি কন্যাসন্তানকে দত্তক নেন সঞ্জয়। তাদের ঘরেও একটি সন্তান, আজারিয়াস। মোট চার সন্তানের পিতা তিনি।
কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই সামাইরা ও কিয়ানের জন্য ১৪ কোটির বন্ড কিনে রাখেন সঞ্জয়। এমনকি, সঞ্জয়ের পৈতৃক বাড়ি কারিশমার নামে করে দেন। বিচ্ছেদের পরও দুই সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। এমনকি ভালো বাবা হওয়ার জন্য বাড়িতে শিক্ষক রেখে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
একসময় সঞ্জয়ের সঙ্গে কারিশমার মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সময় বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছিল। যদিও একটা সময় পর অনেকটা থিতিয়ে যায় তাদের মধ্যেকার তিক্ততা।