সিরাজগঞ্জে তীব্র গরমে হাত পাখাই ভরসা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: একসময় বিদ্যুৎবিহীন বাংলার গ্রামীণ জীবনে গরমে হাতপাখাই ছিলো ভরসা। নানা নকশায় তৈরি পাখাগুলোর কদরও ছিলো জনজীবনে। কিন্তু এখন দিন পাল্টে গেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে এসেছে।
হাত পাখার জায়গা দখল করেছে বৈদ্যুতিক পাখা। তবে চলমান তাপ প্রবাহে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে সিরাজগঞ্জের নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত, এ অবস্থায় কদর বেড়েছে হাত পাখার।
শহরের ব্যস্ততম বাজার স্টেশন, বউ বাজার, কালিবাড়ি বাজার, বাহিরগোলা বাজার, বড় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাতপাখা কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় এর দামও হয়েছে দ্বিগুণ। আগে যে হাত পাখা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একদিকে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নগরের মানুষজন। প্রতিটি বাসা-বাড়িতে রয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা। কেউ কেউ ব্যবহার করছেন এসি। তবে প্রচণ্ড গরমে দিন-রাত মিলিয়ে বেশ কয়েক ঘন্টা থাকতে হয় বিদ্যুৎবিহীন। যখন গরম থেকে বাঁচতে হাত পাখাই যেন ভরসা।
অনেককে এ সুযোগে এলাকাগুলোতে ফেরি করে হাতপাখা বিক্রি করতেও দেখা যাচ্ছে। হাতপাখা ব্যবসায়ী খালেক বলেন, ১০-১২ বছর ধরে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ শহরে হাতপাখা বিক্রি করেন তিনি।
তার মতো অনেকেই পাখা বিক্রি করে সংসার চালান। এবছর গরমের শুরু থেকেই বেড়েছে হাতপাখা কারিগরদের ব্যস্ততা। ক্রেতারা জানান, গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই আছে। তাই পাখার কোনো বিকল্প নেই।
পাখার বাতাস অনেক প্রশান্তিও দেয়। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ তাপদাহ অব্যাহত থাকবে কিছুদিন। গভীর বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপদাহ চলবে।