লালপুরে বৈধ বালুমহালে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে বৈধ বালুমহালে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ইজারাদারগণ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর বালুর ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোল্লা ট্রেডার্স-এর পক্ষ থেকে মেহেফুজ হক সোহাগ লিখিত বক্তব্যে জানান, লালপুর উপজেলার দিয়ার বাহাদুরপুর মৌজায় আমরা সরকার কর্তৃক বৈধভাবে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় বালু মহালের ইজারা গ্রহণ করি।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে ইজারা নেয়ার পর থেকেই আমাদের ওপর একটি চক্র চাঁদা দাবি করে আসছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু ও তার ভাই মেহেদী হাসান। তারা প্রতিদিন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।
আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, আমাদের নিরীহ শ্রমিক ও মাঝিদের মারধর, সাজানো অস্ত্র উদ্ধারের নাটক এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয় ওই চক্র।
বিশেষভাবে আমরা উল্লেখ করতে চাই, ঈশ্বরদী থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই এই অপকর্মে পরোক্ষ সহযোগিতা করে চলেছেন বলে একাধিক সূত্রের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এর ফলে আমাদের বৈধ ব্যবসা পরিচালনায় চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
আমরা এখন বৈধভাবে নদীপথে বালু পরিবহন করতে গেলেও বাধা দেয়া হচ্ছে। শ্রমিক, মাঝি ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বৈধভাবে সরকারি রাজস্ব প্রদান করেও আমরা কাজ করতে পারছি না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ আরও দাবি করেন, পিন্টু-মেহেদী চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যারা এই অপকর্মে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে, তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন করতে হবে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদীর বিএনপি’র নেতা জাকারিয়া পিন্টু জানান, বালি মহলের চাঁদা দাবির সাথে আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের কোন সম্পৃক্ততা নেই। মোল্লা ট্রেডার্স নামের ইজারাদারকেও আমি চিনি না।
একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। প্রয়োজনে প্রশাসন ঘটনাটি তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জকে তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।