কুড়িগ্রামে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় তিনশ হেক্টর জমির ফসল পচে গেছে

অনলাইন ডেস্ক: উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার তিনশ হেক্টর জমির ফসল। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। এদিকে বন্যার পানি নামার পর ক্ষতি নিরূপণ করে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, অসময়ে আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। তাই পানিতে নেমেই অপরিপক্ব ফসল তোলেন অনেক কৃষক। আবার কোথাও পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষত চিহ্ন।
কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিষ্কার করছেন। এক সপ্তাহ আগে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর অববাহিকা বন্যা প্লাবিত হলে নীচু এলাকার ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি শুকাতে শুরু করায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত হয়ে পড়ে কুড়িগ্রামের তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকা। এতে করে পানিতে তলিয়ে যায় একরের পর একর বাদাম, পটল, পাট, তিল, কাউন, মরিচ, আউশসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। কয়েকদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতের বেশির ভাগ ফসল। অসময়ের এই বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১৬টি নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চলে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে সবজিসহ ৩০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক এরশাদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টি আর নদীর পানি বাড়ার কারণে আমার পটল ক্ষেতে পানি ওঠে। এতে ১ বিঘা জমির সব পটল গাছ মরে গেছে। ক্ষেতে পানি আসায় বড় ক্ষতি হয়েছে আমার। আর কয়টা দিন পরে পানি আসলে অনেক টাকার পটল বিক্রি করতে পারতাম।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির হিসেক করা হয়নি। ক্ষতির হিসেব করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
সূত্র: বাসস