ঘরের মাঠে পারল না বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হার

অনলাইন ডেস্ক: এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বহুল প্রতীক্ষিত এই ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছিলেন হাজারো দর্শক। টিভি পর্দায় চোখ রেখেছিলেন কোটি ফুটবলপ্রেমী।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল দেখে তারা হতাশ হয়েছেন বটে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের লড়াকু খেলা দেশের ফুটবল অনুরাগীদের নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও তৃপ্তির অনুভূতি দিয়েছে।
সিঙ্গাপুরকে শুরু থেকেই সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। তবে গোলের ভালো সুযোগ তৈরির দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা।
সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত। হ্যারিস স্টুয়ার্টের লং থ্রো নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েও পারেননি বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুল মারমা। সে সুযোগে জর্ডানের হেডে বল পেয়ে যান সং উই ইয়াং। কিন্তু গোলের অল্প দূরত্ব থেকে শট নিয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৩১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন মিতুল মারমা।
তবে প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের যখন আর মোটে মিনিটখানেক বাকি, তখনই বাংলাদেশের জালে বল জড়ান সিঙ্গাপুরের নাম্বার সেভেন সং উই ইয়ং। হ্যারিসের ক্রসে ডান পায়ের ভলিতে জাল কাঁপান সিঙ্গাপুরের এই ফরোয়ার্ড। এই গোলের সুবাদে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে কিছুটা রয়েসয়ে খেলে বাংলাদেশ। সে সুযোগে ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিঙ্গাপুরের নাম্বার নাইন ইখসান ফান্দি। বক্সের বাইরে থেকে হামি শিয়াহিনের শট মিতুল মারমা ঠেকিয়ে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি । বল চলে যায় সুযোগ সন্ধানী ইখসান ফান্দির দিকে। মোহাম্মদ হৃদয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে মাটি কামড়ানো শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণের ফলশ্রুতিতে ৬৭ মিনিটে ম্যাচে প্রথম সাফল্য পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হামজা চৌধুরীর পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন রাকিব হোসেন।
এই গোলের পর থেকে শেষ বাঁশি পর্যন্ত বাংলাদেশ রীতিমত ঘাঁটি গেড়েছিল সিঙ্গাপুরের অর্ধে। বদলি আল আমিন, ফয়সাল ফাহিমদের সঙ্গে হামজারা একের পর এক আক্রমণ করেছেন। কখনো সেট পিসের সুযোগে, আবার কখনো একক প্রচেষ্টায় সিঙ্গাপুরের বক্সে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হার সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে হামজা-শমিতদের।
যদিও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটের একটি ঘটনা নিয়ে নিশ্চিত ম্যাচের পরেও আলোচনার খোরাক জোগাবে। বাংলাদেশের আল আমিনকে বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেছিলেন সিঙ্গাপুরের ফুটবলার।
বাংলাদেশ দল পেনাল্টির দাবি জানালেও তাতে মোটেই কর্ণপাত করেননি ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিফোর্ড পসটানেস।
তার এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরাও। নেটিজেনরাও পেনাল্টি না দেওয়ায় রেফারির মুণ্ডুপাত করছেন।