ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপন করবেন রাবির ১৮০ শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক: গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ১৬ দিনের ছুটি হয়েছে। এতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ ও লম্বা ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি পাড়ি জমিয়েছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তবে একদল স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী ঈদে থেকে যাবেন ক্যাম্পাসে।
ঈদের পরে চাকরির পরীক্ষা ও সেমিস্টার ফাইনাল থাকায় বাড়িতে যাচ্ছেন না তারা। ফলে পরিবার ছাড়া ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপন করবেন। নিজেদের স্বপ্নপূরণে নাড়ির টান উপেক্ষা করে ঈদুল আজহায় বাড়ি ফিরছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রায় ১৮০ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসস্থল আন্তর্জাতিক ডরমিটরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১৮০ জন শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে, নবাব আব্দুল লতিফ হলে ১১ জন, শাহ মখদুম হলে ১২ জন, সৈয়দ আমীর আলী হলে ৯ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১১ জন, মতিহার হলে ১২ জন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হলে ৭ জন, মাদারবখশ হলে ৪ জন, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ২৮ জন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৭ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ২৮ জন, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ২০ জন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এছাড়া শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম ডরমিটরিতে সোমালিয়ান এবং নেপালিয়ান ১০ থেকে ১৫ জন অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঈদের পরে কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা থাকায় বাড়িতে যাচ্ছি না। এবারের ঈদ হলেই করব।
পড়াশোনা এখন প্রায় শেষের দিকে, এখন চাকরির প্রয়োজন। পরিবার ছেড়ে বাইরে ঈদ করতে কিছুটা খারাপ লাগলেও প্রয়োজনের তাগিদে এটা মানিয়ে নিতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাব্য রায়। ঈদে প্রথমবার ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছরের ক্যাম্পাস জীবনে এই প্রথমবার ফাঁকা ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপন করছি। বেশ কৌতুহল কাজ করছে।
যদিও প্রথমে হল বন্ধ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরবর্তীতে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে হলে অবস্থান করছি। ক্যাম্পাসে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। হলে এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পাহারাদার আছেন।
সার্বিক বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জন্যও আয়োজন রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।