ঢাকা | জুন ৬, ২০২৫ - ৩:৫০ অপরাহ্ন

প্লাস্টিকমুক্ত কৃষি উপকরণ মেলা

  • আপডেট: Thursday, June 5, 2025 - 1:37 am

স্টাফ রিপোর্টার: ঘরে একসময় প্লাস্টিক ছিলোনা, মাটির হাড়ি, কলস থালা ব্যবহার করতাম, বাজারে গেলে পকেটে করে একটি কাপড়ের ব্যাগ সাথে নিয়ে যেতাম, কোন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও একটি কাপড়ের সেলাই করা ব্যাগ পকেটে করে নিয়ে যেতাম।

প্লাসিটকতো এখন ঘরে বাহিরে। এখন শুনি প্লাস্টিক নাকি আমাদের ক্ষতি করে, ক্যান্সার হয় প্লাস্টিকের কারনে। কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহীর পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের বিলনেপাল পাড়ার প্রবীণ কৃষক  জিয়াউর রহমান।

বুধবার বিলনেপাল পাড়া কৃষিপ্রতিবেশ কেন্দ্র এবং উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ বারসিক’র আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্লাস্টিকমুক্ত কৃষি উপকরণ মেলার আয়োজন করেন।

মেলায় দর্শনপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ জন কৃষক কৃষাণ তাদের কৃষি উপকরণ প্রদর্শন করেন। এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে তা পরিচিতকরণে সহায়তা করেন। মূলত প্লাস্টিক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা এবং প্লাস্টিকমুক্ত পরিবার গড়ে তোলা এর উদ্দেশ।

মেলায় অংশ নিয়ে  রেজাউল করিম বলেন- আমরা খাবার দাবার, কৃষিতে বাড়িতে যাতে আর প্লাস্টিক ব্যবহার না কি সেটাই আমাদের মূল উদ্দেশ এই মেলা করার। আমরা চাইলেই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে পারি।

প্লাস্টিক মুক্ত মেলার ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী  মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন- প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবের কারনে মাটির উর্বরতা হ্রাস, প্লাটিস্টেকের উপস্তিতিতে মাটির পোকামাকড় ও প্রাণবৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণাগুলো ফসলের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। প্লাস্টিক বর্জ্য নদী ও জলাশয়ে প্রবাহিত হয়ে জলজ পরিবেশকে দূষিত করে।

তিনি আরও বলেন- বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষিতে মারাত্বকভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলের বাগানে, প্লাস্টিক মালচিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে মারাত্বকভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে। এগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS