ঢাকা | জুন ৫, ২০২৫ - ৮:৫১ অপরাহ্ন

বাজেট বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চাইলেন  ——– অর্থ উপদেষ্টা

  • আপডেট: Wednesday, June 4, 2025 - 1:09 am

সোনালী ডেস্ক: সরকার দেশের অর্থনীতিকে প্রতিকূল অবস্থা থেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মাঝখানে থমকে গিয়েছিল, এখন আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই সরকারের মূল লক্ষ্য। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, সামাজিক নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকসগহ সবার সহযোহিতা চেয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এই সহযোগিতা চেয়েছেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন আমাদের সম্পদ সীমিত, চাহিদা অনেক বেশি। বাইরে থেকে সম্পদ আনা, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, পুঁজিবাদের অবস্থা, ব্যাংকের অবস্থা, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা। এর ভেতরেই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এত চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমাদের প্রতি একটু সমবেদনা নিয়ে কাজ করেন, একবারেই একপেশে কিছুই হয়নি, গুণগান গাইবো সেটাও আমরা চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মোটকথা আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বাজেট দিয়েছি। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে কিন্তু আমরা বাজেট করিনি। আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। যেমন- মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত, জ্বালানি খাত, রাজস্ব আদায় এসব কিছুর মধ্যেই বাজেট করতে হয়েছে। তারপরও আমাদের প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার বাড়েনি।

তিনি আরও বলেন, এতদিন তো আপনারা প্রবৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির ন্যারেটিভ শুনেছেন। গ্রোথ হয়েছে অনেক বেশি কিন্তু সেটার সুবিধা কে পেয়েছে? সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়, ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালিয়ে যেতে পারে সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাজেট সাজিয়েছি।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা রাজস্ব আদায় বাড়ানো, এনবিআর সংস্কার করছি। আমরা বাইরের ঋণের ওপর যে নির্ভর করবো, সেটা না।

আমি প্রাথমিকভাবে মনে করি জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব বাজেট হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তিন বছরের কথা মাথায় রেখে বাজেট দিয়েছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। অনেকে বলেছেন আমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি। আসলে আমরা এসব অনুসরণ না করে চট করে বিপ্লবী একটা বাজেট দিয়ে দেবো, দারুণ একটা রেভেনিউ আনবো, সেটা সম্ভব না।

আমরা কতগুলো ফ্রেমওয়ার্ক বা পদাঙ্ক অনুসরণ করে সামনে যাচ্ছি। এবারে যে ইনোভেশন নেই সেটা কিন্তু না। কিছু পদক্ষেপও আছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল অবস্থা থেকে আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। মাঝখানে থমকে গিয়েছিল, এখন আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, সামাজিক নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে চেষ্টা করেছি। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাইরের প্রতিটা দেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। প্রত্যেকের পজিটিভ মনোভাব রয়েছে, সেটা আরও সুসংহত করতে দেশের ভেতরের মানুষ যেন একটু ইতিবাচক মনোভাব দেখায়।

যদি আমরা নিজেরাই বলি খারাপ, তাহলে অন্যরা তো করবেই। কাজেই দেশের ভেতরের মানুষের যেন দেশের প্রতি দরদ ও সরকারে প্রতি সহযোগিতার মনোভাব থাকে, আমরা সেই প্রত্যাশাই করছি।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS