ঢাকা | জুন ২, ২০২৫ - ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপডেট: Saturday, May 31, 2025 - 11:11 pm

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী একলাসুর রহমান, নাইম ইদ্দীন, আবুল বাছেদের ভাই নিজাম উদ্দিন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাঘা প্রেসক্লাবে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার তেঁথুলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের সঙ্গে আড়পাড়া গ্রামের রহমান মণ্ডলের ছেলে একলাসুর রহমানকে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেয়ার নামে ১০ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সেই কথাবার্তা তিনি ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ২ লাখ টাকা দেন।

নৈশপ্রহরী পদে একই গ্রামের চহরম প্রামানিকের ছেলে আবুল বাছেদ বাচ্চুর ৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সেই মোতাবেক ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ৩ লাখ টাকা দেন। ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট পদে একই গ্রামের মহরম প্রামানিকের ছেলে নাসির উদ্দীনের সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেয়ার কথা হয়।

তিনি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ৩ লাখ টাকা দেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চাকরি দিতে না পারায় অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত একটি ব্যাংকের চেক দেন তাদের। সুকৌশলে কদিন পর তাদের আবার টাকা দিবেন বলে তার বাড়িতে ডেকে নেন।

পরে জোরপূর্বক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চেকের পাতা ছিনিয়ে নেন। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে নিরূপায় হয়ে একলাসুর রহমান বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রাজশাহী কোটে মামলা করেন।

সে সময় অধ্যক্ষ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন। চেয়ারম্যানের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে মামলা খারিজ হয়ে যায়।

  পরে মামলা থেকে রক্ষার জন্য অধ্যক্ষ নিজে বাদী হয়ে ১০৭ ধারায় ভুক্তভোগী চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় ভুক্তভোগীরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়। ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভুক্তভোগীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুনানির দিন ধার্য করলে অধ্যক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে বলেন।

কিন্তু অধ্যক্ষ টাকা ফেরত না দিয়ে ‘দিব দিচ্ছি’ বলে কালক্ষেপণ করে টাকাও দেননি, চাকরিও দেননি। এরপর ২৭ মে রাজশাহীর আদালতে ৬ জনকে অভিভুক্ত করে অধ্যক্ষ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।

তেঁতুলিয়া-পীরগাছা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চেক দিয়ে টাকা নিয়েছিলাম। তাদের টাকা দিয়ে চেক ফেরত নিয়েছি।

জোরপূর্বক চেক নেয়ার বিষয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য না। তারা যড়যন্ত্র করে আমার মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS