চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, রাবি ছাত্র আহত

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিটে রাজশাহীর হরিয়ান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। পাথরের আঘাতে তার মাথা কেটে গেছে। তিনি আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। রাজশাহী থেকে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যাচ্ছিলেন সাজ্জাদ।
সাজ্জাদের সঙ্গে যাত্রা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান জানান, ৬টা ৪০ মিনিটে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে যাত্রা শুরু করে। কিছুক্ষণ পর পর হরিয়ান এলাকায় চলন্ত ট্রেনে বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। জানালা খোলা থাকায় পাথরটি গিয়ে সাজ্জাদের মাথায় লাগে। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। তখন সাজ্জাদের সঙ্গে থাকা কয়েকজনের চেষ্টায় রক্ত বন্ধ হয়।
এদিকে আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। ব্যথা নিরাময়ের জন্য কিছু ওষুধ দিয়েছেন চিকিৎসক। আপাতত তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।
আহত সাজ্জাদ বলেন, ‘মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে দেখতাম ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ফলে যাত্রী আহত। কিন্তু আমার সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটে যাবে, তা কখনোই ভাবতে পারিনি।’ যারা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলাম। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলাম। ট্রেন ছাড়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আমার সিটে হেলান দিয়ে শুয়েছিলাম। জানালা খোলা ছিল। ট্রেনটি হরিয়ান এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে একটি পাথর এসে আমার মাথায় লাগে। সে সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাৎক্ষণিক ট্রেনের স্টাফরা দ্রুত ছুটে এসে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ফলে রক্ত বন্ধ হয়।’
আহত এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাথা কেটে গিয়েছে। তবে কোনো সেলাই দিতে হয়নি। শৈলকুপার নিজ গ্রামে পৌঁছেছি বেলা ১টা ৩০ মিনিটে। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়েছি। তিনি ব্যথা নিরাময়ের জন্য কিছু ওষুধ দিয়েছেন। রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।’
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘মধুমতি ট্রেনে আমার থানার পুলিশ থাকে না। অন্য থানার পুলিশ থাকে। একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে আমি শুনেছি যে এ রকম ঘটনা ঘটেছে।’