অবৈধভাবে বেচাকেনার সময় ২৯ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সামনে অবৈধভাবে বেচাকেনার সময় ২৯ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চালগুলো জব্দ করা হয়। জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে সান্তাহার ইউনিয়নে দুস্থ মহিলাদের খাদ্যসহায়তা (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। সুবিধাভোগী মহিলারা চাল নিয়ে এসে ইউপি পরিষদের সামনে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।
স্থানীয় মোফাজ্জল খান বলেন, আমি জানতে পারি কে বা কারা অবৈধভাবে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সরকারি চাল ক্রয় করছে। এসে দেখি দুজন লোক এসব চাল কিনে নিচ্ছেন।
আমিসহ আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে চালের গাড়ি আটক করি। পরে সান্তাহার ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, আদমদীঘি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা স্যারকে বিষয়টি জানালে তারা ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জোয়ারদার রঞ্জুকে উদ্ধার করা চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদে জব্দ রাখার নির্দেশ দেন। চাল উদ্ধারের সময় দুই চাল ক্রেতা কৌশলে সটকে পড়েন।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ২৯ বস্তা চাল আটক করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উদ্ধার করা চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিকেলে চাল নিতে আসা সুবিধাভোগী আমেনা বেওয়া বলেন, ‘নিম্নমানের চাল দেয়ার কারণে চালগুলো খাওয়া যায় না।
তাই তো বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেই। কিন্তু গতকাল চাল বিক্রি করতে পারিনি, কারণ, কেহ চাল কিনছে না। শুনলাম সকালে নাকি ঝামেলা হয়েছে।
সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বলেন, ইউনিয়নের সামনে অবৈধভাবে চাল বেচাকেনার সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম না। ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা স্যারের সঙ্গে কথা বলে ওই চালগুলো পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে আদমদীঘি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা ভিডব্লিউবি প্রকল্পের ২৯ বস্তা চাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উদ্ধার চালগুলো এতিমখানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আর সুবিধাভোগীদের চাল বিক্রি করার প্রমাণ পেলে তাদের কার্ড বাতিল করে দেয়া হবে।