পদ্মার চরে কৃষকদের পিটিয়ে গরু লুট করে পিকনিক

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও গোলাগুলির ঘটনার জেরে চাষাবাদ করতে যাওয়া আট কৃষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া চর থেকে কৃষকদের গরু লুট করে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করা হয়েছে। গত রোববার ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়ি পদ্মা চরে ইঞ্জিনিয়ার কাকন বাহিনী এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমানে চরে কেউ গেলেই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরসহ জখম করছেন তারা।
আহতরা হলেন- উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আইযুব আলীর ছেলে আনছার মাঝি (৬৭), আনছার মাঝির ছেলে মজনু ( ৩৫), একই উপজেলার মাঝদিয়া এলাকার সাদেকের ছেলে মাছিদুল (৩৬) ও মজিদুল (৪০), দুলাল খা এর ছেলে লিটন (৪০) এবং সোহান, আরাফাত ও এজাজুল।
আহতদের মধ্যে আহত লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই কৃষক। পদ্মা নদীতে জেগে উঠা নিজস্ব ও লিজ নেয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন।
আহত মাছিদুল, সোহান ও আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদীর চরে ও নদী থেকে বালু উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনির সঙ্গে ভেড়ামারার বাহাদুরপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার কাকনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, হামলা, গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা কৃষক।
আমরা তো কারও পক্ষের লোক না। পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা আমাদের পৈত্রিক জমিতে চাষাবাদ করি। আজকে আমরা নৌকায় করে চাষাবাদ করার জন্য চরে যাই। সেই সময় কাকনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। তারা আমাদের দুটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাহিদুল ইসলাম শিশির বলেন, আহতদের মধ্যে লিটনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়েছে।
অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।