৬০ বছর ধরে দেশের ঘরে ঘরে ইউনিলিভার বাংলাদেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশে ১৯৬২ সালে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ইউনিলিভার ধীরে ধীরে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে। আজ ১০টি পরিবারের মধ্যে ৯টিতে ইউনিলিভারের কোনো না কোনো পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির এই সাফল্য শুধু বিপণনের দক্ষতা নয়, বরং মানুষের নির্ভরতা ও দীর্ঘমেয়াদি আস্থারই প্রতিফলন। ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশের মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩৯.২৫% মালিকানা রয়েছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব থাকায় এটি এমন একটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে কাজ করছে, যেখানে নিয়মিত কর প্রদান ও লভ্যাংশের মাধ্যমে ইউনিলিভার বাংলাদেশ জাতীয় অর্থনীতিতে দৃশ্যমান অবদান রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯৬% পণ্য দেশেই উৎপাদিত হয়।
এই স্থানীয় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী এবং প্রায় ১০ লক্ষ খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা যুক্ত, যা লাখো মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ সবসময়ই সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যাপারে সচেতন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের নানা উদ্যোগ রয়েছে।
২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে জরুরি সহায়তা দিয়েছে, এবং ব্র্যাকের সঙ্গে মিলিতভাবে ১৪ লাখ হ্যান্ডওয়াশ বিতরণ করেছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশের ২০০২ সালে চালু হওয়া লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ইতিমধ্যে ১৫ লাখের বেশি মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে।
এছাড়াও, কোভিড-১৯ মহামারির সময় ইউনিলিভার বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সে সময় তারা করোনায় আক্রায় রোগীদের জন্য আইসিডিডিআরবি-তে কিট সরবরাহের পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে ১০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়েছে।
শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ‘লাইফবয় স্কুল অব ফাইভ’ কর্মসূচি ২০২২ সাল থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি শিশুদের হাত ধোয়ার গুরুত্ব শিখিয়েছে। পাশাপাশি ৩,০০০ স্বেচ্ছাসেবী দন্ত চিকিৎসকের সহায়তায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ বিনামূল্যে দাঁতের চিকিৎসা পেয়েছে।
পরিবেশ সুরক্ষায় ইউনিলিভারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ২০২২ সাল থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ইপসার সহযোগিতায় ২৪,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করেছে।
এছাড়া, বর্জ্য সংগ্রাহকদের জন্য ইনফর্মাল ওয়েস্ট ওয়ার্কার ইন্স্যুরেন্স চালু করেছে, যা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। সর্বোপরি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ শুধু একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়।
এটি দেশের উন্নয়নে একটি আস্থার নাম, সামাজিক দায়িত্বের প্রতীক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের বাহক। তাদের সততা, স্বচ্ছতা এবং মানবিকতা আগামী দিনেও দেশের মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়।