নাটোর প্রতিনিধি: প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে ভেকু দিয়ে কাঁচা সড়ক নির্মাণের কাজ দেখতে গিয়ে মাটিচাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন শিশু।

সোমবার উপজেলার বাগডোব বিলগরিলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শিশুর নাম মুক্তাকিম হোসেন (১০)। সে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকশা পশ্চিম পাড়ার কৃষক জহুরুল ইসলামের ছেলে।

অপরদিকে আহত শিশুর নাম শাকিব হোসেন (১১)। সেও একই গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে। তারা খাকশা বনলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা যায়, সড়ক নির্মাণের জন্য তারা ভেকু দিয়ে খোঁড়া গর্তের কিনারায় যেতেই মাটিসহ ভেঙে পড়ে। এতে দুজন মাটি চাপা পড়লে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় এবং আরেকজনকে আশঙ্কাজনকভাবে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

নিহত মুক্তাকিমের বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি থাকায় সকালে ক্লাস হয় নাই। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের কাছাকাছি বিলগরিয়ায় ভেকু দিয়ে কাঁচা সড়ক নির্মাণের কাজ দেখতে যায় মুক্তাকিম ও শাকিবসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এসময় ভেকুর খোঁড়া গর্তের কাছে গেলে মাটি ধসে দুইজনেই গর্তে মাটি চাপায় পড়ে। তাদের সহপাঠীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে ভেকুর চালকসহ স্থানীয়রা এসে মাটি সরিয়ে মুক্তাকিমকে মৃত ও শাকিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ারসেল হোসেন জানান, তিনি এই কাঁচারাস্তা নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছেন। বৃষ্টি হওয়ার কারণে খোঁড়া গর্তের পাড় নরম হয়ে গেছে। তাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

তবে এই কাঁচারাস্তা নির্মাণ কাজটি কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির আওতাভুক্ত। সে হিসেবে তাই শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করার নিয়ম। অথচ ভেকু ব্যবহার কেন করা হয়েছে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওয়ারসেল কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

মাটি চাপায় শিশু নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শিশু নিহতের বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল আইনগত পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।