রাবির ২৬৪ মাস্টাররোল কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: প্রায় দুই দশক পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অন্তত ২৬৪ জন মাস্টাররোল কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৫৩৯তম সভায় তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উচ্চ আদালতের আদেশের রায় বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘গত প্রশাসনের আমলে কর্মচারীদের একটি অংশ বাদী হয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেছিল। দুইদিন আগে সেই মামলার রায় দেন উচ্চ আদালত।
১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের চাকরি স্থায়ী না করে বিগত প্রশাসন নতুন নিয়োগ দিতে চেয়েছিল। তাদের দাবি বিবেচনা এবং আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী বেশ কিছু শর্তে তাদের চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের আগে ও পরে মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ২৬৪ জন কর্মচারী অস্থায়ীভাবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২১ সালে ৭৩ জন কর্মচারী বাদী হয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন।
এর আগেও তারা বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার উচ্চ আদালত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আদেশ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আদালতের রায়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টাররোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিদ্যুৎ বলেন, ‘১৯৯৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অন্যরা যে সময় সুন্দর জীবন-যাপন করছে, তখন আমাদের সহকর্মীরা বিগত বছরগুলোতে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আইনি লড়াইসহ বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার উচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। বর্তমান প্রশাসন সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আমাদের চাকরির বিষয়টি গতকাল সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত করেছে।’