ঢাকা | মে ২৫, ২০২৫ - ২:০৬ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে সড়কের করুণ অবস্থা, দুর্ভোগে কয়েক গ্রামের মানুষ

  • আপডেট: Saturday, May 24, 2025 - 10:25 pm

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসদর থেকে চৌবাড়ীয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তার একেবারে করুণ অবস্থা। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তাটি বর্তমানে যানচলাচলে প্রায়ই অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই সৃষ্ট হয় জলাবদ্ধতা।

ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ১০ বছরের পুরাতন এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বারবার তাগাদা দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে কয়েক গ্রামের লোকজন পড়েছেন চরম বিপাকে।

গতকাল শনিবার সরেজমিন দুর্গাপুর সদর থেকে চৌবাড়ীয়া গ্রাম পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে পুরাতন এই পাকা রাস্তাটি একেবারে যানচলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। কয়েক হাত পরপর খানাখন্দে জরাজীর্ণ অবস্থা। অনেক জায়গা পথচারীরা গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পার হচ্ছেন রাস্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই রাস্তাটি পৌরসভার মেইন রাস্তাগুলোর একটি।

এই রাস্তা দিয়ে পাশ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার লোকজনও যাতায়াত করেন। ১০ বছর আগে এই রাস্তা পাকাকরণ করা হয়। তার বছর দুই তিনেক পরই পাকা রাস্তাটি ভাঙতে শুরু করে।

বিগত ৭ বছর যাবত দুই উপজেলার লোকজন এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। বর্ষাকাল এলে রাস্তার বড় বড় খানাখন্দে পানি জমে থাকে। তখন দুর্ভোগ আরও বাড়ে।

পৌরসদর বহরমপুর গ্রামের বাসিন্দা আবেদ আলী জানান, মাঝে মাঝেই রাস্তার মাপজোখ করতে আসে লোকজন। শুনি বাজেটও হয়েছে অনেকবার। কিন্তু সংস্কার করতে আসে কেউ নি। পৌরসভার অন্যান্য রাস্তার কাজ ঠিকই হচ্ছে। আমাদের এই রাস্তার কাজ আর হয় না।

আমরা কৃষি পর্ণ্যসহ ভারী মালামাল বাজার নিতে পারি না। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার চাই। একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা ভ্যানচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, সাত বছর ধরে কষ্টে আছি।

কে শুনবে আমাদের কথা। এই রাস্তায় ভ্যানগাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতিদিন আমার ভ্যানগাড়ি নষ্ট হয়। ভ্যানগাড়ীর যাত্রী পরিবহনে যা ভাড়া পাই।

অনেক সময় তার অর্ধেক টাকা ভ্যানগাড়ি মেরামত করতে লেগে যায়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় অনেক ভ্যানচালক এই রাস্তা ভ্যানগাড়ি চালাতে চায় না।

চৌবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াইজুল বলেন, হাটবারের দিন আসলে আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই। কৃষকেরা তাদের পর্ণ্য বাজারে নিতে বেগ পেতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় সময়মত যানবাহন পাওয়া যায় না।

রাস্তাটা এতোই খারাপ যে গাড়িতে যাওয়া দূরের কথা, হেঁটে যাইতে কষ্ট হয় সকলের। এ ব্যাপারে দুগার্পুর পৌরসভার প্রকৌশলী সাহাবুল হক বলেন, বরাদ্দ নেই। এজন্য সংস্করণে দেরি হচ্ছে। এ রাস্তার জন্য আবার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক-ই-মোহাম্মাদ জানান, এই রাস্তা বিষয়ে অবগত আছি। সম্প্রতি এই রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। বেশ খারাপ অবস্থা দেখেছি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাথে কথা বলে রাস্তাটি দ্রুত কিভাবে পাকাকরণ করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS