কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত

চাঁপাই ব্যুরো: সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে বন্ধ ছিল আমদানি কার্যক্রম। তবে কর্মবিরতির নির্ধারিত সময়ের পর অর্থাৎ ৫টার পর পণ্যভর্তি ভারতীয় ১৫০টি ট্রাকের ছাড়পত্র দেয়া হয়। অন্যদিকে সকালে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক ছিল রপ্তানি কার্যক্রম।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এলেও কাস্টমস ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে তা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে পাথরসহ অন্যান্য পণ্যের ৫০টি ট্রাক শূন্য রেখায় এসে ছাড়পত্র না পাওয়ায় আটকা পড়েছে।
একই সাথে ভারতের ওপারে মোহদীপুর স্থলবন্দরে আমদানি পণ্যবাহী প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। সোনামসজিদ স্থল কাস্টমস স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল হাসান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে অসহযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। তবে ৫টার পর নির্ধারিত সময়য়ের পর আমদানিকৃত পণ্যভর্তি ১৫০টি ট্রাকের কাস্টমসের ছাড়পত্র প্রদান করেন।
এদিকে, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, এনবিআর বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা।
তারই অংশ হিসেবে স্থল কাস্টমসের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে। ৫টার পর আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় বেশকিছু ট্রাকের ছাড়পত্র দেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।
আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাকগুলো শূন্য রেখা থেকে ভারতের মহদিপুর বন্দরে অপেক্ষা করেছে। ওপারে আমদানি পণ্যবাহী প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছিল। ৫ টার পর ১৫০ টি আমদানিকৃত পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকের ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এর আগে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা। তবে ওই সময় স্থলবন্দর কলম বিরতির আওতামুক্ত ছিল।