ভারতের নিকট হতে পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নেয়া হবে- মিনু

স্টাফ রিপোর্টার: আল্লাহ যদি আমাদের সুযোগ দেয় আমাদের রক্তের যে পানি, সেই পানির অধিকারের দাবিতে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পায়ে হেঁটে ফারাক্কার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শনিবার বিকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থিত বড় মসজিদের সামনে ৪৯ তম ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উদযাপন কমিটি রাজশাহীর উদ্যোগে, মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৯ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণজমায়েত ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য ও মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেন, ভারত ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ উদ্বোধন করে। এই ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য একটি মরণ ফাঁদ উপলব্ধির পর মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ থেকে ফারাক্কা লংমার্চ শুরু করেন।
ফারাক্কা লংমার্চের ৪৯ বছর, অতিবাহিত হলেও ভারত বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পানির ন্যায্য অধিকারের আশ্বাসের কথা বললেও আজ পর্যন্ত তাদের কোনো আশ্বাস বাস্তবায়ন বাংলাদেশের মানুষ দেখতে পায়নি। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উজানে ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের প্রায় ৪৪টি অভিন্ন নদী আজ বিলুপ্তির পথে। পানির কারণে নদীগুলো মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হলে প্রয়োজনে মওলানা ভাসানীর মতো নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে একটা চুক্তি করেছিল যা ভারতের পক্ষে।
পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে ভারতকে একতরফা পানি ব্যবহার করতে দিয়েছে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। এই ফারাক্কার পানি চুক্তি নিয়ে আর কোন অপরাজনীতি করতে দেয়া যাবে না। এটা দেশের মানুষের বাঁচা-মরার বিষয়। এই অবস্থায় পানির অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে।
ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. ওয়াসিম হোসেনের সভাপতিত্বে গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন. কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও ভাসানী ফাউন্ডেশনের রাবি শাখার সভাপতি ড. জি এম শফিউর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামূল হক, নিরাপদ সড়ক চাই রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট তৌফিক আহসান টিটু, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফরিদ মামুদ হাসান, রাজশাহী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জমসেদ আলী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী জেলা শাখার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত বেগসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং শুধীজন।