ঢাকা | মে ২২, ২০২৫ - ২:৪০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

  • আপডেট: Wednesday, May 21, 2025 - 10:02 pm

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অচলাবস্থা কাম্য নয়

প্রতিবেশী দেশ ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাকসহ সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

জানা যায়, এর ফলে পণ্য নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোলে ৩৬টি ট্রাক, বুড়িমারীতে ১৭টি ট্রাকসহ বিভিন্ন স্থলবন্দরে বেশ কিছু ট্রাক আটকে যায়। জানা যায়, স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব, তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ভারত সরকার।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবেন। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বরাবরই ভারত এগিয়ে।

সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশ ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৫৭ কোটি ডলারের। তবে ভারতের নতুন ব্যবস্থায় রপ্তানির এই পরিমাণও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের অনেক পণ্য যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, মৌলভীবাজার, সিলেট সীমান্ত হয়ে। স্বল্প দূরত্বের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের বড় কয়েকটি কোম্পানি সীমান্তের কাছাকাছি কারখানা গড়ে তুলেছে।

তাদের কারখানা থেকে এক দিনেই পণ্য চলে যেত সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন শহরে। এখন কলকাতা বন্দর দিয়ে সেই পণ্য পাঠাতে কমপক্ষে ১০ দিন লেগে যাবে। খরচও পড়বে অনেক বেশি। ভৌগোলিক কারণে দুটি দেশ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। তাই দুই দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অচলাবস্থা কাম্য নয়।

পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং চলমান সঙ্কট কাটবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS