ঢাকা | মে ২২, ২০২৫ - ৫:৩২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

৪ ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি চাকরিচ্যুতি

  • আপডেট: Wednesday, May 21, 2025 - 11:03 pm

সরকারি চাকরি আইন সংশোধন

সোনালী ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা জোরদারে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি পাসের জন্য উত্থাপন হতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি চাকরি আইনে নতুন করে শৃঙ্খলাভঙ্গের চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর কর্মকাণ্ডের দায়ে সরকারি কর্মচারীদের নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি হতে বরখাস্তের দণ্ড দেয়া যাবে।

সংশোধনী প্রস্তাবে যা আছে: ০১। এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যে-কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে আনুগত্য (রহংঁনড়ৎফরহধঃরড়হ) সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে ০২।

অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ব্যতীত বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, নিজ কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন ০৩।

অন্য যে কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকত বা তার কর্তব্য পালন না করার নিমিত্ত উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন ০৪। যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

জনপ্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, এসব অপরাধের কারণে বিভাগীয় মামলা না করেই সরকারি কর্মচারীদের যে কোনো সময় চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে এই পদক্ষেপ নেয়া যাবে।

এদিকে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কালো আইন জারির তৎপরতা বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এবং আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠন দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়ন ও পেশাগত বিকশিত করার পরিবর্তে নির্যাতনমূলক কালো আইন, ব্যক্তিগত দাসত্ব ও ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করে সচিবালয়কে অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে।

যার কারণে কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিবেশে তৈরি হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের কালো আইনকে পুনরায় জারি করা হলে সংবিধানের ১৯,২১, ২৭,৩১, ৩৭ ও ৩৮ ধারা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে। এ ধরনের আইন জারির ফলে কতিপয় কর্মকর্তাদের নিকট কর্মচারীরা দাসত্বে পরিণত হবে।

সাংবিধানিক অধিকারের পরিধি ও ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা চরম উদ্বেগজনক। এটি অপব্যবহারের সুযোগ বেশি থাকবে, কর্মচারীদেরকে এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের দাসত্বে পরিণত করা হবে। নানা অজুহাত ও অভিযোগে নিরীহ কর্মচারীদের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS