ঢাকা | মে ২২, ২০২৫ - ৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বাবা ও মায়ের হাতে মেয়ের মৃত্যু এবং কিছু প্রশ্ন

  • আপডেট: Wednesday, May 21, 2025 - 8:08 pm

অনলাইন ডেস্ক: কিছুদিন আগের ঘটনা, মালয়েশিয়ার হাইওয়েতে একটি হাতির বাচ্চা মারা যাওয়ার পর, তার মরদেহ ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল মা হাতি। এই ঘটনা বিশ্বের বহু মানুষকে আবেগাপ্লুত করেছে। মায়ের ভালোবাসা নিঃশর্ত, হোক সে মানুষ বা প্রাণী। এই ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, তারাই চোখের পানি ফেলেছেন। একটি মা হাতি তার মৃত সন্তানের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। তার ছোট বাচ্চাটি একটি ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেছে। মা হাতিটি তার মাথা ট্রাকের গায়ে ঠেস দিয়ে সারারাত ও পরদিন সকাল পর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়েছিল।

অন্যদিকে কুড়িগ্রামে এক বাবা-মা সম্পত্তির জন্য প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে হত্যা করেছেন। এই খবরটি পড়ার পর থেকেই অসুস্থবোধ করছি। মনে নানাধরনের শংকার জন্ম দিয়েছে। মানুষ কতটা অমানবিক হয়েছে যে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য বাবা-মা তাদের প্রিয়তম কন্যাকে হত্যা করতেও দুবার ভাবছে না। পূর্বপরিকল্পিতভাবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ১৫ বছরের মেয়েকে রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বাবা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছে মা ও আত্মীয়রা।

গাজীপুরে মায়ের জমির বাগান থেকে কাঁঠাল নিতে বাধা দেওয়ায় বাবার দায়ের কোপে মেয়ে নিহত হয়েছে। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে বাবা শারফুদ্দিন তার হাতে থাকা দা দিয়ে কন্যা স্মৃতি আক্তারের গলায় ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। এ সময় স্মৃতি আক্তারের একটি হাত ও গলা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া মা-বাবার ঝগড়ার প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হলো কিশোরী মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টিকে। এরকম আরও অসংখ্য খবর আসছে প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে। অথচ এ খবরগুলো স্বাভাবিক ঘটনার নয়, বরং খুবই কষ্টের এবং মর্মান্তিক।

হাতি তার সন্তানকে বাঁচাতে না পেরে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে। শুধু হাতি নয়, সব প্রাণিই সন্তানকে আগলে রাখে, খাবার ও আশ্রয় জোগাড় করে দেয়। পাখির মা সন্তানকে মুখে তুলে খাবার দেয়। বাবা পাখি দূর-দূরান্ত থেকে খাবার সংগ্রহ করে আনে। মা বানর, কুকুর, বিড়াল, বাঘ সবাই সন্তানকে স্নেহ মায়া দিয়ে বড় করে তুলছে। তাহলে মানুষ কেন সন্তানকে বলি দিচ্ছে লোভের কারণে? এর পেছনে মনস্তাত্ত্বিক কারণটা কী?

আমি বিশ্বাস করি মা-বাবার মতো এত আপনজন আর কেউ নেই। বাবা চলে যাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি মাথার ওপর থেকে ছায়া সরে গেছে। সেই ছায়া আর কেউ দেয়নি। মা চলে যাওয়ার পর বুঝেছি মাথায় আদর করে হাত রাখার মানুষটি হারিয়ে গেছে। এ শুধু আমার একার অনুভূতি নয়, যারা বাবা-মায়ের কাছে একটি পরিবারে থেকে বড় হয়েছেন, তারা সবাই অনুভব করতে পারছেন বাবা-মায়ের পরম স্নেহ ভালোবাসার কথা।

শিশু জন্মের পরপরই তার আশ্রয় হয় বাবা-মায়ের কোলে। এরপর আমৃত্যু মা-বাবা সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। তাদের যতটুকু সাধ্য আছে, ততটুকু দিয়েই সন্তানকে সুখী করতে চান। এমনও দেখছি সন্ত্রাসীর হাত থেকে সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে মা-বাবা নিহত ও আহত হচ্ছেন সবসময়।

তাহলে সমাজে কেন বাড়ছে বাবা-মায়ের হাতে শিশু নির্যাতনের হার? প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে যখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পাস হলো, তখন আমার এক পুলিশ বন্ধু বলেছিল ঢাকার বাইরে বেশ কিছু এলাকায় এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে।

প্রতিপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করতে, জেলহাজতে ঢুকানোর জন্য নিজের মেয়ে, স্ত্রী ও বোনকে ধর্ষণের শিকার বা মারধরের শিকার বলতে এতটুকুও দ্বিধা করছে না বাবা।

জমিজমা সংক্রান্ত মামলা, মারামারি সবই এই নারী নির্যাতন আইনের অধীনে নিয়ে আসা হতো, যেন অজামিনযোগ্য অপরাধ হয়। তখন তার কথাটা শুনে অবাক হয়েছিলাম। বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল। নারী ও শিশুর জন্য এত ভালো একটা আইন এভাবে অপব্যবহার করছে মানুষ? হ্যাঁ মানুষই অপব্যবহার করে, কারণ মানুষ স্বার্থপর।

যদিও বোঝা খুব কঠিন যে, ঠিক কী ধরনের বিষয়গুলো বাবা মাকে সন্তান হত্যায় প্ররোচিত করে। কখনো সামাজিক লজ্জা, কখনো লোভ, কখনো দায়মুক্তি, ক্ষোভ, শাস্তি দেয়া সবই হতে পারে এর কারণ। সন্তান হত্যার মতো বিষয়ে আরেকটি কারণ খুব প্রাধান্য পেয়েছে, সেটি হচ্ছে স্বামী স্ত্রী পরস্পরের প্রতি প্রতিশোধ গ্রহণের মনোবৃত্তি। এই প্রতিশোধ গ্রহণের মনোবৃত্তি থেকে যারা সন্তান হত্যা করে, তারা প্রায়শই হত্যা করার পর আত্মহত্যা করতে চায়।

বাবা-মায়ের সাথে কি সন্তানের তাহলে স্বার্থের সম্পর্ক? বাবা মা অর্থাৎ পরিবারকে একটি শিশু সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে। বড় হয় এদের হাত ধরে। আমরাও সেভাবেই বড় হয়েছি, আমাদের সন্তানরাও সেভাবেই বড় হচ্ছে। অধিকাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানদের রাজপুত্র, রাজকন্যা মনে করেন।

কপালে কালো টিপ পরিয়ে রাখেন, যেন মন্দ মানুষের নজর না লাগে। তারা যতোই দরিদ্র হোন, চেষ্টা করেন সন্তানের মুখে আহার তুলে দিতে। ঢাকা শহরে যে-সব নারী গৃহশ্রমিক খণ্ডকালীন চাকরি করেন, তারাও তাদের ভাগের খাবার ব্যাগে করে নিয়ে যান। পরিবারের সবাই একসাথে ভাগ করে খাবেন বলে।

মা-বাবাকেই শিশু সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে। যাদের কাছে শিশুর সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা, তাদের হাতেই কেন শিশু হত্যার শিকার হচ্ছে? শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের আরো কোথাও কোথাও, কিছু ভয়াবহ ঘটনার মধ্যে দেখা যায়, বাবা-মা নিজের সন্তানকে হত্যা করেন।

এটা কি মানসিক সমস্যা? নাকি সমাজের নানাধরনের চাপ ও লোভ মা-বাবাকে পথচ্যুত করে? কেন এবং কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে, এবং এর পেছনে বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক কারণগুলোই বা কী?

অভাব, দুঃখ, অভিমান ও অবহেলার কারণে মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমশ তিনি নিজের ভার বহন করার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখনই তিনি সুইসাইড করার কথা ভাবেন। ঘরে যদি শিশু সন্তান থাকে, তখন হয়তো ভাবেন এদের কার কাছে রেখে যাবেন।

তাই অনেকেই সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেন। বাবা যদি ঠিকমতো সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব না নেন, তখনো মা এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

একজন মা তার দুই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। যদিও প্রথম দিকে নিহতের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছিলো, বাসি খাবার খেয়ে বাচ্চা দুটি মারা গেছে। কিন্তু পরে ভিকটিমদের মা স্বীকার করেছে, সে নিজ হাতে তার সন্তানদের হত্যা করেছে।

খুব অস্বাভাবিক হলেও এই ঘটনাই ঘটেছে। কিন্তু কেন ঘটেছে? র‌্যাব বলেছে পারিবারিক কলহ, মানসিক বৈকল্য, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, অর্থ-সম্পত্তির লোভ এ হত্যাকাণ্ডের কারণ। যদিও সাধারণ মানুষের কাছে এটা প্রায় অসম্ভবই মনে হয়।

অথচ এই ঘটনারও বিপরীত চিত্র দেখতে পাওয়া যায় যৌনকর্মীদের ক্ষেত্রে। অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু জন্ম নেয় বাবার পরিচয় ছাড়া।

যেখানে এদের বেঁচে থাকাটাই অভিশাপের মতো, সেখানে কিন্তু যৌনকর্মী মা তাদের হাত ছাড়েন না। অসম্ভব কষ্ট করে এদের বড় করেন, শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন। সমাজে এদের পরিচয় লুকিয়ে রাখার জন্য অনেক সময় মা হিসেবে নিজের পরিচয়ও ব্যবহার করেন না।

আর সবচেয়ে বড় কথা তারা কখনই চান না যে তাদের সন্তান এই পেশায় আসুক। কাজেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপকে উপেক্ষা করেও এনারা সবাই প্রায় সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

কাজেই মা বা বাবা কর্তৃক সন্তান হত্যা অপ্রচলিত না হলেও, স্বাভাবিক নয়। প্রায়ই নিউজ দেখি এখানে-সেখানে নবজাতককে ফেলে দেয়া হয়েছে। কপাল ভাল থাকলে শিশুটি বেঁচে যায়, আর মন্দ হলে শেয়াল-কুকুরে তাদের ছিঁড়ে খায়।

জন্মানোর ২৪ ঘণ্টার ভেতরে জন্মদাত্রী তাদের সন্তানকে হত্যা করে, সামাজিক লজ্জা ও দায়িত্ব নেয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য। বিয়ের আগে জন্মানো সন্তানকে এভাবেই ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়। এখানে নারী-পুরুষ দুজনেরই সমান অপরাধ থাকে।

মা যদি অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং মনে করেন সন্তান একটা বাধা অথবা সন্তান এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারছে না, তখন সে সন্তানকে ‘পথের কাঁটা’ মনে করে সরিয়ে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

অন্যদিকে স্বামী যদি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বা সন্তানের মাকে উপেক্ষা বা অসম্মান করে, সেক্ষেত্রেও স্বামীকে শাস্তি দেয়ার জন্য মা এই কাজ করতে পারে। বাবাদের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। অভাব-অনটন, স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদের কারণেও সন্তানের উপর খড়্গ নেমে আসে।

পত্রিকায় পড়া এক তথ্য মতে Brown University, Alpert Medical School একটি গবেষক দল, আমেরিকার ৩২ বছর ধরে রেকর্ডকৃত ৯৪০০০ সন্তান হত্যার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা দেখেছেন শিশুরা তাদের বাবা মায়ের কাছেও ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে।

এ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুলের উক্ত গবেষণার প্রধান টিমোথি মারিয়ানো মনে করেন- প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মনে করা হয়, মায়েরাই কেবল সন্তানদের হত্যা করতে পারেন। কিন্তু আমাদের গবেষণায় যে উদ্বেগজনক তথ্যটি বেরিয়ে এসেছে, তা হচ্ছে সন্তান হত্যায় একজন বাবাও একজন মায়ের সমান ভূমিকা রাখতে পারেন।

আরেকটি নিবন্ধে দেখলাম ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী ড. সান্ড্রা উইথলি মনে করেন, যে বাবা মা তাদের সন্তানকে হত্যা করবেন বলে ঠিক করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তটা তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রহণ করা হয় না।

সন্তান নবজাতক অথবা যে বয়সেরই হোক না কেন, তাদের হত্যা করার সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা অনেক কিছুই বিচার করেন। এবং এই হত্যা যে সেই সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক হবে, এমন একটি সিদ্ধান্তেও তাকে বা তাদের পৌঁছাতে হয়।

যদিও বোঝা খুব কঠিন যে, ঠিক কী ধরনের বিষয়গুলো বাবা মাকে সন্তান হত্যায় প্ররোচিত করে। কখনো সামাজিক লজ্জা, কখনো লোভ, কখনো দায়মুক্তি, ক্ষোভ, শাস্তি দেয়া সবই হতে পারে এর কারণ।

সন্তান হত্যার মতো বিষয়ে আরেকটি কারণ খুব প্রাধান্য পেয়েছে, সেটি হচ্ছে স্বামী স্ত্রী পরস্পরের প্রতি প্রতিশোধ গ্রহণের মনোবৃত্তি। এই প্রতিশোধ গ্রহণের মনোবৃত্তি থেকে যারা সন্তান হত্যা করে, তারা প্রায়শই হত্যা করার পর আত্মহত্যা করতে চায়।

সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে সন্তান হত্যা করার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, স্ফিৎজোফ্রেনিয়া। এই ধরনের মানসিক রোগের কিছু জটিল পর্যায় রয়েছে। এক্ষেত্রে মেগান হান্টসম্যান নামে ঘটনা খুব উল্লেখযোগ্য।

১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মেগান হান্টসম্যান একজন আমেরিকান নারী পর পর ছয়টি সন্তানকে জন্মানোর পর পর হত্যা করেন। ২০১৪ সালের হান্টসম্যানের প্রাক্তন স্বামী গ্রোভের সাথে তার ভাগাভাগি করা বাড়ির গ্যারেজ পরিষ্কার করতে শুরু করেন , তখন ধারাবাহিক শিশুহত্যার ঘটনাটি আবিষ্কৃত হয়।

মেগান সব সন্তান হত্যার কথা স্মরণ করতে পারেন নাই। তবে তিনিই একমাত্র নন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অপরাধী তার আগের অপরাধকে মনে রাখতে পারছে না।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন বাবা-মায়ের মানসিক রোগ বা অস্থিরতা যেমন ডিপ্রেশন, সাইকোসিস, বা পোস্টমর্টেম ডিপ্রেশন খুব ভয়াবহ ফলাফল বয়ে আনে। এসব অবস্থায় তারা নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

পারিবারিক কলহ, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, বা সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের অবনতি এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যেখানে বাবা-মা হতাশা বা রাগের বশে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিশেষ করে, যখন তারা মনে করেন যে সন্তান থাকলে জীবন থেকে কোনো “মুক্তি” নেই, তখন তারা সন্তানকে সরিয়ে দিতে চান।

কিছু ক্ষেত্রে, নার্সিসিস্টিক, বর্ডারলাইন, বা অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত বাবা-মা সন্তানকে বোঝা হিসেবে দেখে, যা তাদের হিংস্র আচরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশে এধরনের ঘটনা বাড়ছে কেন, এ প্রসঙ্গে সমাজ মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। বাড়ছে অভাব-অনটন, লোভ, সম্পর্কের টানাপড়েন ও নিরাপত্তাহীনতা। বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

এই বিশেষ ক্ষেত্রগুলোতে চিকিৎসা গবেষণা ও সামাজিক গবেষণা করা প্রয়োজন। দেখতে হবে কেন অপরাধজগতে এই নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে? এটা কি সামাজিক অবক্ষয় নাকি মানসিক সমস্যা? আমরা বিশ্বাস করি সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান তার বাবা-মায়ের কোল।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS