তানোরে যানবাহন উঠলেই কেঁপে উঠে বেইলী ব্রিজ

ঝুঁকি নিয়ে চলাচল:
সাইদ সাজু, তানোর থেকে: রাজশাহীর তানোরে ১৯৯২ সালে শিব নদীর ওপর নির্মিত অস্থায়ী বেইলি ব্রিজটির বয়স ৩৩ বছর পেরিয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে ক্ষয় হয়ে গেছে ব্রিজের পাতগুলোও।
ফলে, বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এবং শীত কালে কোঁয়াশা পড়ে পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনসহ মোটরসাইকেল চালকদের। বেইলি ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে খসে গেছে পাটাতনের জোড়া লাগানো অংশ। ভারী কোনো যানবাহন উঠলেই কাঁপতে শুরু করে ব্রিজটি। যানবাহন চলছে বেশ ঝুঁকি নিয়েই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর ও মোহনপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ১৯৯২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে শিব নদের বুরুজ ঘাট নামক স্থানে অস্থায়ীভাবে প্রায় ১শ ৭৫ মিটার লম্বা এই বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
এরপর ৩৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটি মেরামত কিংবা সংস্কারের কাজ করা হয়নি। এমনকি নতুন করে স্থায়ী কোনো ব্রিজ নির্মাণেরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই ছোট-বড় মিলিয়ে অসংখ্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে।
এতে যে কোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের পাতগুলো ক্ষয় হয়ে গেছে। কোনো গাড়ি ব্রেক করলেই ভয় রয়েছে পিছলে যাওয়ার।
ফলে, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে ওই বেইলি ব্রিজ দিয়ে। ব্রিজের রেলিংগুলোর মাঝেও অনেক ফাঁকা। তাই দুর্ঘটনায় নিচে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মোহনপুর ও তানোর উপজেলায় প্রচুর ধান ও সবজি উৎপাদন হয়। এগুলো এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় নিয়মিতভাবেই আনা নেয়ার সহজ রাস্তা এটি। যখনই ছোট থেকে মাঝারি কোনো ট্রাক পণ্য নিয়ে ব্রিজটিতে ওঠে তখনই শব্দ করে কাঁপতে শুরু করে ব্রিজটি। বড় ট্রাক উঠলে জোরে জোরে কাঁপতে শুরু করে।
এছাড়া বৃষ্টি হলে ব্রিজটিতে গাড়ি নিয়ে ওঠা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। আজিজুল নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ট্রাক নিয়ে ব্রিজে উঠতেই শব্দ হয় এবং কাঁপে। মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়ল।
এলজিইডির তানোর উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, অস্থায়ী বেইলি ব্রিজগুলোতে একটু ঝুঁকি থাকে। এই ব্রিজ সড়ক ও জনপদের রাস্তায়। ব্রিজটির বিষয়ে সব দায়দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের বলে জানান তিনি।